অন্তত ধর্ষণ করে ছেড়েতো দেয় না : সরোজ খান

Slider বিনোদন ও মিডিয়া

saroj-khan

এবার বলিউডের ‘কাস্টিং কাউচ’ নিয়ে মুখ খুললেন কোরিওগ্রাফার সরোজ খান।

রোজ খান বলেন, কাস্টিং কাউচ-এর মত ঘটনা সেই ‘বাবা আজমের’ যুগ থেকে চলে আসছে। সব জায়গাতেই মেয়েদের উপর কারো না কারো নজর থাকে। সে সরকারি কোনো কাজের জায়গা হোক, বা অন্য কোথাও। কিন্তু, সবাই সবক্ষেত্রে বলিউডকেই কাঠগড়ায় তোলে। কেন সবাই সব সময় বলিউডকে দোষ দেয় বলেও প্রশ্ন তোলেন সরোজ খান। বলিউড তাদের পেটের ভাত যোগায়, তাই ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি তাদের ‘বাবা-মা’ বলেও মন্তব্য করেন সরোজ খান।

তিনি আরো বলেন, ‘কাস্টিং কাউচ কোনো খারাপ বিষয় নয়। কাজ দেয়। অন্তত ধর্ষণ করে ছেড়েতো দেয় না।’

সরোজ খান আরও বলেন, যখন কাস্টিং কাউচের বিষয়টি সামনে আসে, তখন সবকিছু নির্ভর করে মেয়েটির উপর। সে কী করতে চাইছে, তার উপরই নির্ভর করে সবকিছু। কে নিজেকে বিক্রি করবে, না করবে না, সেটা সম্পূর্ণ তার ব্যক্তিগত বিষয়ের উপর নির্ভর করে।

ইন্ডাস্ট্রিতে যৌন সম্পর্ক করলেই কাজ পাওয়া যায়। তবে এই যৌন সম্পর্ক মহিলাদের ইচ্ছার উপরই নির্ভর করে। বলি দুনিয়ায় অন্তত ধর্ষণ করে ছুঁড়ে ফেলা হয় না মেয়েদের। শারীরিক সম্পর্কের পর সেই মেয়ের রুটি রুজিরও ব্যবস্থা করা হয়।

যৌন সম্পর্কের ক্ষেত্রে মেয়েরাই যে বেশি উৎসাহী থাকে সেটি তার কথায় স্পষ্ট। কারণ কাস্টিং কাউচের সমর্থনে কথা বলার সময় যথেষ্ট যুক্তিও দিয়েছেন সরোজ ৷ তিনি বলেন, যদি কোনও মহিলার মধ্যে প্রতিভা থাকে তাহলে সে এ কাজ করবে না।

কাস্টিং কাউচ নিয়ে অযথা রটনা করা হচ্ছে বলেও সাংবাদিকদের রীতিমত আক্রমণ করেছেন তিনি। বলেন, ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি নিয়ে অযথা অপপ্রচার চালাবেন না।

যেখানে ইলিয়ানা ডি’‌ক্রুজ থেকে শুরু করে রিচা চড্ডা, প্রিয়াঙ্কা চোপড়া একাধিক নামি অভিনেত্রী কাস্টি কাউচ নিয়ে মুখ খুলেছেন, সেখানে সরোজের এমন মন্তব্য অনেকটা আগুনে ঘি ঢালার মতই কাজ করেছে।

নিজে ভুল বলেছেন বুঝতে পেরে পরে আবার ক্ষমাও চেয়ে নেন সরোজ। বেফাঁস মন্তব্যের জেরে যে সমালোচনার পারদ তিনগুণ চড়েছে তা বুঝতে পেরে সরোজ ক্ষমা চেয়ে বলেন, বক্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা করবেন না। আমি বলতে চেয়েছি যৌন হেনস্থা সর্বত্র ঘটছে। শুধুমাত্র বলিউডকে টার্গেট করা ঠিক নয়।

‘কাজ পাইয়ে দেয়ার নাম করে সুযোগ নেয়া নতুন কোনও ঘটনা নয়। সরকারও তাই করে। তাহলে কেন শুধু ফিল্ম ইন্ড্রাস্ট্রিকে টার্গেট করা হচ্ছে।’‌

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *