ঢাকা: বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে আইনি হত্যা করার জন্য সরকার দেশে আনতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন দলটির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান। তিনি বলেছেন, সরকার বলছে- যে কোন ভাবেই তারেক রহমানকে দেশে ফেরাতে চাই। আসলে তারেক রহমান এই মুহুর্তে বাংলাদেশে নিরাপদ নয়। তাকে এনে আইনি হত্যা করা হবে। বেগম খালেদা জিয়ার উপর যেমন আইনি শাসন করছে সরকার তেমনি তারেক রহমানকে দেশে আনতে পারলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে আইনি হত্যা করবে। খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে আজ বিকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে জিয়া মঞ্চ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আয়োজনে এক প্রতিবাদ সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
নোমান বলেন, তারেক রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশে আবার গণতান্ত্রিক পরিবেশ সৃষ্টি হবে। এটাই বাংলাদেশের মানুষ কামনা করে। সুতরাং আমরা বলতে চাই আমাদের নেতাকে অনুকূল সময় না আসা পর্যন্ত বিদেশে রাখতে চাই। তিনি বলেন, তারেক রহমান এলে দেশ অর্থনৈতিক মুক্তি পাবে। যে অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য জিয়াউর রহমান দেশের গ্রামে গ্রামে ঘুরে বেড়িয়েছেন। সাধারণ কৃষকের সঙ্গে খাল কেটেছেন। তার যোগ্য সন্তান দেশে ফিরে মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করবেন। এই মুহুর্তে যদি তারেক রহমান দেশে ফিরতে চান তাহলে আমি বলবো- আসার দরকার নেই। এখনই তার দেশে ফেরা নিরাপদ নয়। প্রবীণ এ নেতা বলেন, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে মুক্তি সংগ্রামের আন্দোলন হয়েছে। বহু আন্দোলনের মূল নেতা দেশে থাকতে পারেননি। দেশের বাইরে থেকে আন্দোলন পরিচালনা করেছেন। আন্দোলন যখন সফল হয়েছে তখন তিনি দেশে এসেছেন। আমাদের তারেক রহমানও দেশে ফিরে আসবেন। যেদিন তিনি আসবেন সেদিন আওয়ামী লীগের চিহ্ন থাকবে না। তিনি বলেন, পানি গরম করার সময় ৯৯ ডিগ্রি তাপমাত্রায় গেলে বাষ্প হয়ে উড়ে যায়। আমাদের আন্দোলনও ঘনীভূত হচ্ছে। আন্দোলন উত্তপ্ত হবে। এটি এক পর্যায়ে গিয়ে সফলতা পাবে। রাজপথের আন্দোলন শুরু হয়েছে। আমরা রাস্তায় থাকবো। যতদিন দেশনেত্রীর মুক্তি না হবে ততদিন আন্দোলন চলবে। আমাদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। এর থেকে পেছানোর আর কোন সুযোগ নেই। নোমান বলেন, সংসদীয় সরকারের বড় শক্তি হল জনগণ। জনগণের ইচ্ছায় দেশ পরিচালিত হয়। সেই কারণে আওয়ামী লীগ ও জামায়াতে ইসলামী আন্দোলন করেছিল নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দেয়ার জন্য। আমরা জনগণের যৌক্তিক দাবি মেনে নিয়ে সংবিধানের সংশোধনী এনেছিলাম। নিরপেক্ষ নির্বাচন দিয়েছিলাম। কিন্তু বর্তমান সরকার বলছে- নির্বাচনকালীন কোন সরকার হবে না। বর্তমান সরকারের অধীনেই আগামী জাতীয় নির্বাচন হবে। আসলে তারা বুঝতে পেরেছে আগামীতে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় না আসলে জনগণই তাদের শায়েস্তা করবে। এটা কাউকে বলে দেয়া লাগবে না। তাই আবার ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য নিরোপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন না দিয়ে একটা ভোটার বিহীন নির্বাচন করতে চাচ্ছে। কারণ নিরোপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিলে তাদের পরাজয় নিশ্চিত এটা বুঝতে পেরেছে। জিয়া মঞ্চ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক খলিলুর রহমান বাবুর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম ও জিয়া মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক মো. ফয়েজ উল্যাহ ইকবাল বক্তব্য দেন।