শত্রুর শত্রু আমার বন্ধু। এই নীতি নিয়ে চলেন বৌদ্ধ ধর্মগুরু দালাই লামা। চীনের পক্ষ থেকে এমন অভিযোগই তোলা হয়েছিল। কারণ চীন-ভারত সম্পর্ক যখন তলানিতে ঠেকেছিল তখন ভারতের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন তিব্বতের এই বৌদ্ধ ধর্মগুরু।
মোদি সরকারের পক্ষ থেকে ভারতে দালাই লামাকে স্বাগত জানানো হলেও নির্দেশিকা জারি করে বলা হয়েছিল তার কর্মসূচীতে সরকারের কোনও প্রতিনিধি অংশ নেবেন না। তবে ডোকা লা বিরোধের পর যখন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং মুখোমুখি বসতে চলেছেন, ঠিক তখনই নিজের অবস্থান পরিবর্তন করে ফেলললেন এই বৌদ্ধ ধর্মগুরু।
দালাই লামা জানান, এই বৈঠক নিয়ে তিনি আনন্দিত। বৈঠক নিয়ে বৌদ্ধ ধর্মগুরু দলাই লামা বলেন, ‘তারা বৈঠকে বসছেন, এটা অত্যন্ত ভাল বিষয় বলে আমি মনে করি। তাদের পাশাপাশি থাকা উচিত। প্রতিবেশীদের মধ্যে সম্পর্ক ভাল হওয়াই উচিত। তাই পরস্পরের উচিত পরিবারের মত বাস করা। তাছাড়া তিব্বত এখনও চীনেরই অংশ। যদি চীন সেটাকে সম্মান দেয়।’
এই বৈঠকের ফাঁকে তিব্বতের স্বায়ত্ত্বশাসন নিয়ে নিজের দাবিকে সুকৌশলে ঢুকিয়ে দিতে চাইলেন দালাই লামা, মনে করছেন অনেকে।