আরেকটি নিবার্চন চাই না হয় জনগন ক্ষমা করবে না

Slider গ্রাম বাংলা জাতীয় টপ নিউজ ঢাকা নারী ও শিশু ফুলজান বিবির বাংলা বাংলার আদালত বাংলার মুখোমুখি রাজনীতি সারাদেশ সারাবিশ্ব

high_sm1

গ্রাম বাংলা ডেস্ক: বিগত নির্বাচন নিয়ে নির্বাচন কমিশনের ভূমিকার সমালোচনা করে প্রবীণ আইনজীবী ড. কামাল হোসেন বলেছেন, ৫ জানুয়ারি নির্বাচনকে ত্রুটিযুক্ত। আরেকটি নির্বাচন চাই। না হয় জনগণ এবং ইতিহাস আমাদের ক্ষমা করবে না। ওই সময় নির্বাচন কমিশনের উচিত ছিল, সুপ্রিম কোর্টের মতামত চাওয়া। কমিশনের সামনে এখনও সে সুযোগ রয়েছে।

বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিতদের নিয়ে করা এক রিটের শুনানিতে অ্যামিকাস কিউরি (আদালতকে পরামর্শদানকারী) হিসেবে বুধবার তিনি এ কথা বলেন।

ড. কামাল হোসেন ছাড়াও আদালতে বক্তব্য দেন সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদারও।

বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দার ও বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম খানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রিটের শুনানি বৃহস্পতিবার পর্যন্ত মুলতবি করেন।

এর আগে ২৯ মে এর শুনানিতে ড. কামাল হোসেন বলেছিলেন, জাতীয় নির্বাচনে ১৫৩ আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত এটা নজিরবিহীন। সংবিধানের মূলনীতি গণতন্ত্র। এতে বলা আছে, জনগণ সকল ক্ষমতার মালিক। সংবিধান অনুযায়ী জনগণের পক্ষে ক্ষমতার প্রয়োগ করবেন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা। যারা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন, তাদেরকে কি জন প্রতিনিধি বলা যাবে?

সম্প্রতি এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীও বক্তব্য দেন। আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটি, উপদেষ্টা পরিষদ ও সংসদীয় দলের যৌথ বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ড. কামাল নিজেই সত্তরের নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছিলেন। এখন তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচনের সমালোচনা করেন।

এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর নাম উল্লেখ না করে ড. কামাল বলেন, ইয়েস, আমি সত্তরের নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছিলাম। ওই নির্বাচনে আমি ছিলাম জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট। উপ-নির্বাচনে বঙ্গবন্ধু আমাকে প্রার্থী দাঁড় করিয়েছিলেন।

সত্তরের নির্বাচনের সঙ্গে ২০১৪ সালের নির্বাচনের তুলনা করে সত্তরের নির্বাচনকে অপবিত্র করা হয়েছে। আমরা সব মূল্যবোধ হারিয়ে ফেলেছি বলেও মন্তব্য করেন ড. কামাল।

অ্যামিকাস কিউরি হিসেবে শুনানিতে অংশ নিয়ে বদিউল আলম মজুমদার দশম সংসদ নির্বাচনকে অবৈধ ও বেআইনি ঘোষণার জন্য আদালতের প্রতি অনুরোধ জানান।

বদিউল আলম মজুমদার বলেন, আমাদের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র এবং সংবিধানের প্রস্তাবনায় গণতন্ত্রের কথা বলা হয়েছে। গণতন্ত্র বলতে জনগনের প্রতিনিধিত্বশীল সরকার ব্যবস্থাকে বুঝানো হয়েছে। আন্তর্জাতিক আইনেও নির্বাচন বলতে জেনুইন নির্বাচনকে বোঝানো হয়েছে। ভোটারবিহীন নির্বাচন কোনো নির্বাচন নয়।

তিনি বলেন, ভোট হলেই হবে না। নির্বাচনকে অবাধ ও নিরপেক্ষ হতে হবে। কিন্তু ৫ জানুয়ারির নির্বাচন অবাধ ও নিরপেক্ষ ছিল না।

বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণার বিধান সম্বলিত গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের (আরপিও) ১৯ ধারা চ্যালেঞ্জ করে গত বছরের ১৭ ডিসেম্বর জাতীয় পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান খন্দকার আবদুস সালাম রিট আবেদনটি করেন। পরে গত ১৬ ফেব্রুয়ারি গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের ১৯ ধারাকে কেন সংবিধান পরিপন্থি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট।

এ রুলের শুনানির জন্য আদালত সাতজনকে অ্যামিকাস কিউরি হিসেবে নিয়োগ দেন। তারা হলেন, ড. কামাল হোসেন, ব্যারিস্টার এম আমীর-উল ইসলাম, ব্যারিস্টার রফিক-উল হক, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ, ব্যারিস্টার আজমালুল হোসেন কিউসি ও সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *