গাজীপুর: গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলায় বিল্লাল ওরফে বিলু হত্যা মামলায় ১৩ জনকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন গাজীপুর আদালত। এছাড়া প্রত্যেক আসামিকে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানাও করা হয়েছে।
আজ সোমবার দুপুরে গাজীপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ-১ আদালতের বিচারক মো. ফজলে এলাহী ভূঁইয়া এ আদেশ দেন।
গাজীপুর আদালতের অতিরিক্ত পিপি মো. মকবুল হোসেন কাজল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নিহত বিল্লাল হোসেন কালীগঞ্জ উপজেলার ঈশ্বরপুর এলাকার মৃত কিতাব আলীর ছেলে। বিল্লাল কালীগঞ্জ জুট মিলের শ্রমিক ছিলেন।
দন্ডপ্রাপ্তরা হলেন- কালীগঞ্জ উপজেলার বাহাদুর শাদী এলাকার মৃত তালেব আলীর ছেলে ফালান, একই এলাকার ছোয়াদ আলীর দুই ছেলে কাদির ও ছাদিক আলী, মৃত নিজাম উদ্দিনের তিন ছেলে কালাম, আলম ও হুমায়ুন, আলফাজ উদ্দিনের তিন ছেলে বাজিত, আজিজ ও ওসমান, খোদে নেওয়াজের ছেলে আ. সামাদ ও মৃত মনির উদ্দিনের ছেলে মানিক, ঈশ্বরপুর এলাকার আমির আলীর ছেলে রুস্তম এবং অহিদ আলীর ছেলে ফারুক।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ১৯৯৫ সালের ৭ ডিসেম্বর কালীগঞ্জ উপজেলার ঈশ্বরপুর এলাকায় বিল্লাল ও তার বাড়ির কাজের লোক জাকারিয়া লাউ চুরি করেছেন এমন অভিযোগ করেন রুস্তম। পরে রুস্তম চুরির ঘটনাটি জানানোর জন্য বিল্লাল ও জাকারিয়াকে ঈশ্বরপুর বাজারে ডেকে নেন। সেখানে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে ফালানসহ অন্য আসামিরা কুড়াল, ছুরি দিয়ে বিল্লালকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করে।
এ ঘটনায় বিল্লালের ছোট ভাই মো. জালাল উদ্দিন বাদী হয়ে ওইদিন কালীগঞ্জ থানায় মামলা করেন। তদন্ত শেষে পরের বছর ১০ মে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুস শহীদ ওই ১৩ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দেন। মামলার সাক্ষীদের স্বাক্ষ্যগ্রহণ ও দীর্ঘ শুনানি শেষে সোমবার আদালত ১৩ জনকে ফাঁসি ও প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা করেন।
দন্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে ফালান, আজিজ, আ. সামাদ, ফারুক, আলম ও মানিক পলাতক রয়েছেন। অন্যরা রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন অতিরিক্ত পিপি মো. মকবুল হোসেন কাজল এবং আসামিপক্ষে ছিলেন মো. আলা উদ্দিন হোসেন।