.সিলেট প্রতিনিধ: সিসিক এলাকায় সুয়ারেজ সিস্টেম (পয়ঃনিষ্কাশন) চালু করতে হচ্ছে মাস্টারপ্ল্যান। ইনস্টিটিউট অব ওয়াটার মডেলিং (আইডব্লিউএম) এই প্ল্যান তৈরী করছে। এ লক্ষ্যে সিসিক প্রতিষ্ঠানটির সাথে চুক্তি করেছে।
জানা যায়, সম্প্রতি সিলেট সিটি করপোরেশন এলাকায় সুয়ারেজ সিস্টেম (পয়ঃনিষ্কাশন) চালুর উদ্যোগ নেয়া হয়। এ লক্ষ্যে সিসিক চুক্তি স্বাক্ষর করে আইডব্লিউএম’র সাথে। সিসিকের পক্ষে চুক্তিতে সই করেন মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী এবং আইডব্লিউএম’র পক্ষে সই করেন প্রতিষ্ঠানটির নির্বাহী পরিচালক প্রফেসর ড. এম মনোয়ার হোসেন।
এ বিষয়ে সিসিক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী জানান, আইডব্লিউএম’র সাথে প্রাথমিক এই চুক্তির মাধ্যমে নগরীর সুয়ারেজ সিস্টেম চালুর সূচনা হলো মাত্র। আইডব্লিউএম’র আগামী ২২ মাসের মধ্যে সিলেট নগরীর ২৭টি ওয়ার্ডের সুয়ারেজ সিস্টেমের একটি মাস্টারপ্ল্যান তৈরী করবে। এরপর সিটি কর্পোরেশন তা পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়ন করবে।
মেয়র বলেন, ‘সিলেট সিটি করপোরেশন এলাকায় সুয়ারেজ ব্যবস্থা না থাকায় সুরমা নদী ক্রমাগত দূষিত হয়ে উঠছে। নদীর আশপাশে গড়ে ওঠা কলকারখানার বর্জ্য যেমন অপরিকল্পিতভাবে সুরমায় পড়ছে, তেমনি কয়েক লাখ নগরবাসীর পয়ঃবর্জ্য নদীটিকে দূষিত করছে। এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য সিসিক এই চুক্তির মাধ্যমে সুয়ারেজ সিস্টেম চালুর প্রক্রিয়া শুরু করলো। এই চুক্তি বাস্তবায়ন হওয়ার পর উপকৃত হবেন নগরবাসী।
সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী প্রকৌশলী নূর আজিজুর রহমান বলেন, ‘সুয়ারেজ সিস্টেম না থাকায় সুরমা নদী দূষিত হচ্ছে তা অস্বীকার করার কিছু নেই। সুয়ারেজ সিস্টেম চালু করা অত্যন্ত ব্যয়বহুল। তবুও নগরীতে সুয়ারেজ চালু করার জন্য বিশ্বব্যাংকের সহায়তা চাওয়া হবে। বিশ্বব্যাংক এ কাজে এগিয়ে আসবে, জাইকার কাছেও এ বিষয়ে অর্থায়নের জন্য আবেদন করা হয়েছে।