বাংলাদেশের ১ লাখ ৫৬ হাজার ৩২৮ জন শান্তিরক্ষী জাতিসঙ্ঘের ৫৪টি পিস কিপিং মিশনে অংশ নিয়েছেন। এরমধ্যে ১ হাজার ৪ শ’ ৩৫ জন নারী সদস্য রয়েছেন।
এছাড়াও বর্তমানে ১১টি মিশনে নিয়োজিত রয়েছেন ৭ হাজার ৯১ জন বাংলাদেশী শান্তিরক্ষী। অপরদিকে দায়িত্ব পালনরত অবস্থায় এ পর্যন্ত শহীদ হয়েছেন ১৪৩ জন। আর আহত হয়েছেন ২২৩ জন।
যুক্তরাষ্ট্রের আর্মি ওয়ার কলেজের ২৫ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল গতকাল শুক্রবার নিউইয়র্কে জাতিসঙ্ঘের বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন পরিদর্শন করতে গেলে স্থায়ী মিশনের ডিফেন্স অ্যাডভাইজর ব্রিগেডিয়ার জেনারেল খান ফিরোজ আহমেদ ওই প্রতনিধি দলের কাছে এসব তথ্য তুলে ধরেন। আজ ঢাকায় প্রাপ্ত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানা গেছে। এতে বলা হয়, এরআগে প্রতিনিধি দলকে মিশনে স্বাগত জানান স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন।
যুক্তরাষ্ট্র আর্মি ওয়ার কলেজের ২৫ সদস্যের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন প্রফেসর কর্নেল ল্যান লাইলেস। জাতিসঙ্ঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশের অব্যাহত সুনামের প্রেক্ষিতে এবং পারস্পরিক অভিজ্ঞতা বিনিময়ের অংশ হিসেবে প্রতিবছরই ইউএস আর্মি ওয়ার কলেজের প্রতিনিধিদল বাংলাদেশ মিশন পরিদর্শনে আসেন। ২৫ সদস্যের প্রতিনিধি দলে ওই কলেজে অধ্যয়নরত বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাও ছিলেন।
রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন আর্মি ওয়ার কলেজের প্রতিনিধি দলের কাছে জাতিসঙ্ঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেজের শান্তিরক্ষা কার্যক্রম সংস্কার সংক্রান্ত বিষয়ে বাংলাদেশের অবস্থান তুলে ধরেন। সন্ত্রাসবাদ ও সহিংস চরমপন্থা দমনে বাংলাদেশ সরকারের জিরো টলারেন্স নীতির কথাও উল্লেখ করেন রাষ্ট্রদূত মাসুদ। এছাড়া বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর মধ্যে বহুমূখী সহযোগিতা দিন দিন আরও বৃদ্ধি পাচ্ছে মর্মে তিনি তার স্বাগত বক্তৃতায় উল্লেখ করেন।
বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনের ডিফেন্স অ্যাডভাইজর প্রতিনিধিদলকে একটি পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে জাতিসঙ্ঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীদের ভূমিকা ও বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন। তিনি জানান জাতিসঙ্ঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশ সামনের সারির একটি দেশ। প্রতিনিধিদলকে জাতিসঙ্ঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমের ত্রিশ বছর পূর্তি উপলক্ষে প্রণীত একটি ভিডিও চিত্রও প্রদর্শন করা হয়।