স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, গাজীপুর: গাসিক নির্বাচনে মেয়র প্রার্থীর সর্বোচ্চ ব্যয় ৩১ লাখ ৫০ হাজার টাকা। এর বেশী তারা ব্যয় করতে পারবেন না। গাসিকে সর্বনিম্ন ৬ লাখ ১৮ হাজার টাকা থেকে ৩০ লাখ টাকা পর্যন্ত মেয়র প্রার্থীরা ব্যয় করবেন বলে হলফ নামায় উল্লেখ করেছেন। তবে একাধিক প্রার্থী অতিরিক্ত ব্যয় ও আচরণ বিধি লংঘন করছে। গতকাল নৌকা প্রতীকের প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে আচরণ বিধি লংঘনের অভিযোগ তদন্ত শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন। গনমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের প্রেক্ষিতে এই তদন্ত বলে জানা গেছে।
মনোনয়নপত্রের সঙ্গে দেয়া প্রার্থীদের হলফ নামায় দেখা যায়, নৌকা প্রতীকের প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম নিব তহবিল থেকে ৩০ লাখ টাকা খরচ করবেন। ধানের শীষের প্রার্থী হাসান উদ্দিন সরকার নিজ থেকে ২০ লাখ ও স্ত্রীর গাড়ি বিক্রির টাকা থেকে ১০ লাখ নিয়ে ৩০ লাখ টাকা খরচ করবেন। আর নিজ তহবিল থেকে ৩০ লাখ টাকাই খরচ করবেন ইসলামী ঐক্যজোটের ফজলুর রহমান।
স্বতন্ত্র প্রার্থী এম সানাউল্লাহ ২৫ লাখ ৫ হাজার, জাসদের রাশেদুল হাসান রানা ৪ লাখ ৩০ হাজার, ইসলামী আন্দোলনের নাসির উদ্দিন ৫ লাখ ৯০ হাজার টাকা, স্বতন্ত্র প্রার্থী ফরিদ আহমদ ৪ লাখ টাকা ও বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের প্রার্থী জালাল উদ্দিন খরচ করবেন ৬ লাখ ১৮ হাজার টাকা।
এই সকল টাকা প্রার্থীরা কি ভাবে খরচ করবেন কোন খাতে, কত তাও উল্লেখ আছে হলফ নামায়।
সরেজমিনে দেখা যায়, প্রার্থীরা এখনো প্রচারণায় আনুষ্ঠানিকভাবে নামতে পারেননি। কারণ নির্বাচন কমিশন ২৪ এপ্রিল থেকে প্রচারণায় নামার ঘোষনা দেবেন। কিন্তু প্রার্থীরা প্রায় সকলেই প্রচারণায় নেমে গেছেন। নির্বাচন কমিশনের তোয়াক্কা করছেন না কেউ। প্রার্থীদের আচরণ বিধি লংঘনের অভিযোগ প্রতিনিয়ত গণমাধ্যমে প্রকাশ ও প্রচার হলেও নির্বাচন কমিশন কোন সাড়া শব্দই করছেন না। তবে গতকাল নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, নৌকা প্রতীকের প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে আচরণ বিধি লংঘনের অভিযোগ আমলে নিয়ে তদন্তের নিদের্শ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।