অপহৃত হিল উইমেন্স ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মন্টি চাকমা ও রাঙামাটি জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক দয়াসোনা চাকমাকে আজ বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ৮টার দিকে ছেড়ে দিয়েছে সন্ত্রাসীরা। দীর্ঘ এক মাস আটকে রাখার পর অবশেষে তাদেরকে ছেড়ে দেওয়া হলো।
১৮ মার্চ সকালে রঙামাটি সদর উপজেলা কুতুকছড়ি ইউনিয়নের একটি বাড়ি থেকে অস্ত্রের মুখে দয়াসোনা ও মন্টি চাকমাকে তুলে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। যে বাড়িতে তারা অবস্থান করছিলেন, সেটিও পুড়িয়ে দেওয়া হয়। এক মাস পর আজ খাগড়াছড়ি সদরের মধুপুরের এপিবিএন গেট এলাকায় তাদেরকে ছেড়ে দেওয়া হয় বলে জানা গেছে। ছাড়া পাওয়ার পর তারা অভিভাবকদের সাথে খাগড়াছড়ি থেকে বাড়ির পথে রওনা হয়েছেন।
তবে এ বিষয়ে হিল উইমেন্স ফেডারেশনের সভাপতি নিরুপুমা চাকমা রাত সাড়ে ৮ টায় বাংলা রিপোর্টকে বলেন, ‘বিষয়টি আমিও শুনেছি। তবে এখনো পুরোপুরি নিশ্চিত নই। বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে কাল সকালে জানাতে পারবো।’
তবে স্থানীয় একাধিক সূত্র বাংলা রিপোর্টকে জানিয়েছেন অপহৃত হিল উইমেন্স ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মন্টি চাকমা ও রাঙামাটি জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক দয়াসোনা চাকমাকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ১৮ মার্চ সকালে ঢাকা থেকে বাসে করে রাঙামাটি এসে কুতুকছড়ির ওই বাড়িতে কিছু সময়ের জন্য বিশ্রাম নিচ্ছিলেন পাহাড়ি দুই নেত্রী। দুপুরের খাবার খেয়ে যে যার মতো করে বাড়িতে চলে যাওয়ার কথা ছিল।
তারপর হঠাৎ সকাল ৯টার দিকে ৮-১০ দুর্বৃত্ত বাড়িটি লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি ছোড়ে। এ সময় ধর্মসিং চাকমা ও কুনেন্টু চাকমা পালিয়ে যান। পালানোর পথে পায়ে গুলিবিদ্ধ হন ধর্মসিং।
দয়াসোনার বাড়ি রাঙামাটির কাউখালী উপজেলার ঘাগড়া ইউনিয়নের হাজাছড়ি গ্রামে। পরিবারের চার ভাইবোনের মধ্যে দয়াসোনা সবার বড়। এবং অপহৃত হওয়া হিল উইমেন্স ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মন্টি চাকমার বাড়ি রাঙামাটির নানিয়ারচর উপজেলার বেতছড়ি গ্রামে।
অপহরণের ঘটনায় দয়াসোনার বাবা বৃষধন চাকমা বাদী হয়ে রাঙামাটির কোতোয়ালি থানায় ১৯ জনকে আসামি করে মামলা করেছিলেন।