স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, গাজীপুর: গাসিক নির্বাচনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী হাসান উদ্দিন সরকার জাতীয় পার্টি থেকে বিএনপিতে এসেছিলেন। তাই বিএনপিতে তার একক প্রভাব বিএনপির প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বিএনপি করা কোন বড় নেতার মত নয়। আর আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলমের হঠাৎ উত্থান দলের বড় নেতাদের কাছে কতটুকু মানান বা বেমানান তা নিয়েও গুঞ্জন আছে। অনেকের মতে, আওয়ামীলীগের বড় নেতাদের মধ্যে অনেকেই মন থেকে চান না জাহাঙ্গীর আলম প্রতিমন্ত্রীর মর্যাদায় মেয়র হউক।
অনুসন্ধানে জানা যায়, বিএনপির প্রার্থী হাসান উদ্দিন সরকার আগে জাতীয় পার্টিতে ছিলেন। জাতীয় পার্টিতে থাকার সময় তিনি এমপি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হন। জাতীয় পার্টিতে থাকার সময়ই তিনি টঙ্গী পৌরসভার চেয়ারম্যান হন। সুতরাং বিএনপিতে থাকলেও জাতীয় পার্টির সঙ্গে হাসান সরকারের একটি ঘনিষ্ট সম্পর্ক আছে। হাসান সরকার সমর্থকেরা মনে করেন, জাতীয় পার্টি হাসান সরকারকেই ভোট দিবে।
মহাজোটের শরীক হওয়ায় আওয়ামীলীগ বলছে জাতীয় পার্টির প্রতীক এখন নৌকা। এ ছাড়া জাহাঙ্গীর আলম মনোনয়নপত্র দাখিলের আগে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের সঙ্গে দেখা করেছেন। এতে মনে হয় জাতীয় পার্টি জাহাঙ্গীরকেই ভোট দিবে।
সুতরাং দুই প্রধান দলের দুই প্রার্থীর সঙ্গেই জাতীয় পার্টির একটি করে ভাল সম্পর্ক আছে। সুতরাং জাতীয় পার্টির ভোট কে বেশী পাবেন তা এখনি বলা যাবে না।
এদিকে রাজনৈতিক জীবনে হাসান সরকার কারাভোগ করেছেন। জাহাঙ্গীর আলমও করাভোগ করেছেন। দুই জনই বিরোধী দলে থাকা অবস্থায় কারাগারে ছিলেন। দুইজনই পুলিশ রিমান্ডে ছিলেন। সুতরাং দুই জনই ত্যাগী নেতা। সুতরাং তারা একটি পদের জন্য হওয়ায় নিজ নিজ দলে তাদের গ্রহনযোগ্যতাও রয়েছে।
ভোটাররা বলছেন, নৌকা ও ধানের শীষ প্রতীকের দুই প্রার্থী দুই প্রজন্মের নেতা। বলা যায় প্রবীন ও নবীনের সংগ্রাম। এখন দেখা যাক কে পাশ করেন।