সম্মেলনকে কেন্দ্র করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে আহত হয়ে ছয় জন আহত হয়েছেন বলে দাবি করে ছাত্রলীগের একাংশ। আহতের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। সোমবার ঢাবির মধুর ক্যান্টিনে এ ঘটনা ঘটে। ছাত্রলীগের ২৯তম জাতীয় সম্মেলন নিয়ে সম্মেলনের প্রত্যাশী অংশের সাথে বর্তমান কমিটির কাটাকাটির এক পর্যায়ে এই ঘটনা ঘটে।
প্রতক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে মধুর ক্যান্টিন থেকে ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ বের হয়। এ সময় ছাত্রলীগের আমিনুল ইসলাম বুলবুল, ওমর ফারুক সাগর, মিশু, মিশকাত হোসেনসহ ১৫-২০ জন নেতাকর্মী তার কাছে সম্মেলন নিয়ে কথা বলতে যায়। সোহাগ তাদের সাথে কথা না বলতে চাইলে তারা সোহাগের দিকে তেড়ে আসে এবং বিভিন্ন ভাষায় গালিগালাজ করে। এ সময় পাশে থাকা সোহাগের অর্ধশতাধিক সমর্থক তাদেরকে বের করে দেওয়ার চেষ্টা করে। এক পর্যায়ে তাদের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে সাগর, মিশু, মিশকাত, আল আমিনসহ অন্তত ৬ জন আতহ হন।
এদিকে, এই ঘটনার পরপরই বিভিন্ন হল থেকে সোহাগের সমর্থকরা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে মধুর ক্যান্টিনে এসে জড়ো হয়। এসময় তারা ‘সোহাগের কিছু হলে, জ্বলবে আগুন ঘরে ঘরে’ বলে স্লোগান দিতে থাকে। কয়েক দফায় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনায় ক্যাম্পাসে ব্যাপক উত্তেজনা বিরাজ করে। বিকেলে ক্যাম্পাসে ঘূরতে আসা জনসাধারণের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করে।
এ বিষয়ে শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম বুলবুল বলেন, আমরা সোহাগের ক্যাম্পাসের অস্থিতিশীলতার বিষয়ে জানতে চেয়েছিলাম। আমরা তাকে বলি যে, ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা কোটা সংস্কার নিয়ে পোস্ট দিচ্ছে? আপনি নিশ্চুপ কেন? তারেক রহমান আপনাকে কত টাকা দিয়েছে? এ কথা বললে সোহাগ আমার উপর তেড়ে আসে। পরে তার নেতাকর্মীরা আমাদের উপর হামলা করে। এতে আমাদের ৬ জনের মতো আহত হয়।
ঘটনার বিষয়ে ছাত্রলীগ সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ জানান, কিছু বহিষ্কৃত ও সাবেক নেতা এসেছিল। যারা মার্ডার মামলার আসামী। তারা ঝামেলায় ছিল। আমি তাদের মিটিয়ে দেই।
সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইন বলেন, আমিনুল ছাত্রলীগের কেউ না। সে গোপালগঞ্জের হত্যামামলার আসামী। ওরা মধুর সামনে এসে বিশৃংখলা করতে ছিলো। ছাত্রলীগ সভাপতি তাদের থামিয়েছেন।
উল্লেখ্য, এর আগেও সম্মেলন নিয়ে কথা বলায় বিশ^বিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন সংলগ্ন মলে সূর্যসেন হল শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের মারধরের শিকার হন সাগর ও মিশকাত।