জাতিসংঘে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত নিকি হ্যালি বলেছেন, লক্ষ্য অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত তার দেশ সিরিয়ায় সেনা মোতায়েন রাখবে। সেই সঙ্গে সিরিয়ায় আবারও হামলা চালাতে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সর্বাত্মকভাবে প্রস্তুত বলেও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন তিনি।
রোববার ফক্স নিউজকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে হ্যালি বলেন, সিরিয়ায় নিযুক্ত দুই হাজার মার্কিন সেনা এখনই দেশে ফিরবে না। এর আগে শনিবার রাশিয়ার আহ্বানে নিরাপত্তা পরিষদের জরুরি বৈঠকে তিনি বলেন, ‘আসাদ সরকার সিরিয়ায় রাসায়নিক হামলা চালালে, দেশটিতে আবারও সামরিক অভিযান শুরু করবে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা।’
সিবিএস টেলিভিশনকে দেয়া অন্য এক সাক্ষাৎকারে নিকি হ্যালি বলেছেন, সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদকে অব্যাহতভাবে সমর্থন দেয়ার জন্য রাশিয়ার ওপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপের পরিকল্পনা করছে আমেরিকা। আজ এ নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করতে পারেন মার্কিন অর্থমন্ত্রী স্টিভেন নুচিন। যেসব রুশ কোম্পানি প্রেসিডেন্ট আসাদকে সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহ করছে এ নিষেধাজ্ঞা তাদের ওপর আরোপ করা হবে বলে জানান নিকি।
সিরিয়া পরিস্থিতিতে প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্টের সরাসরি আলোচনার সম্ভাবনা নাকচ করে দেন মার্কিন এ কূটনীতিক। তিনি তার ভাষায় বলেন, ‘ওয়াশিংটনের সঙ্গে সরাসরি আলোচনায় বসার যোগ্য নয় সিরিয়া।’
এদিকে, রাসায়নিক হামলার অভিযোগের তদন্ত ছাড়াই মার্কিন মিত্রদের সিরিয়ায় হামলাকে ”গুণ্ডামি” এবং ”আন্তর্জাতিক আইনের ভয়াবহ লঙ্ঘন” উল্লেখ করে এর তীব্র সমালোচনা করেছেন জাতিসংঘে রুশ রাষ্ট্রদূত ভাসিলি নেবেনজিয়া।
এরই মধ্যেই সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ বলেছেন, পশ্চিমা জোটের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা সিরিয়াকে দুর্বল নয় বরং দৃঢ়তা আরও বাড়াবে। এছাড়া বিদ্রোহী দমনে এক ইঞ্চিও ছাড় দেয়া হবে না বলেও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন তিনি। সূত্র : পার্সটুডে