অবশেষে উদ্ধার হল কাপাসিয়া থানা পুলিশ!

Slider গ্রাম বাংলা

images

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, গাজীপুর: আসামী আটকের পর ৫দিন ধরে থানায় রেখে নির্যাতনের অভিযোগ থাকায় অসুস্থ আসামীকে আদালতেে এনে আবার চিকিৎসার জন্য ফেরত নিয়েছে পুলিশ। অতঃপর রাতে কাপাসিয়া থেকে চিকিৎসা করিয়ে আদালত হয়ে কারাগারে পাঠানো হয় এক আসামকে। এই নিয়ে দিনভর কোর্ট পুলিশ ও কাপাসিয়া পুলিশের মধ্যে টানাপোড়েন চলে। অবেশষে রাতে আসামী পুনরায় জমা দিয়ে
উদ্ধার হয় কাপাসিয়া থানা পুলিশ।

নির্যাতনের শিকার আসামীর নাম নূর মোহাম্মত পিতা মৃত: আঃ লতিফ। বাড়ি কাপাসিয়া থানার কড়িহাতা ইউনিয়নের বেগুনহাটি গ্রামে। আসামী নূর মোহাম্মদ, পুলিশ সদর দপ্তরে কর্মরত পুলিশ সুপার কফিল উদ্দিনের ভাগিনা।

আজ রোববার গাজীপুর আদালতে এই ঘটনা ঘটে।

আদালত সূত্রে জানা যায়, কাপাসিয়া থানার কড়িহাতা ইউনিয়নের শ্রীপুর গ্রামে ১০ এপ্রিল রাতে সেলিনা বেগম(৫২) নামে এক বিধবা মহিলা খুন হন। পরদিন পুলিশ লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়। পরে ময়না তদন্ত শেষে লাশ দাফন হয়। এই ঘটনায় সেলিনার ভাই আরজু মিয়া বাদী হয়ে ১১ এপ্রিল কাপাসিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার অভিযোগে স্থানীয় রাজীব, বোরহান ও আলামিন নামে তিন যুবক বাদীর বোনকে বিরক্ত করত বলে উল্লেখ রয়েছে।

ঘটনার পর পুলিশ ১২ এপ্রিল আসামী রাজীব ও ১৩ এপ্রিল আসামী বোরহানকে আদালতে পাঠায় ও আসামীদ্বয় আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্ধী দিয়ে অপরাধ স্বীকার করে বলে পুলিশি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। একই সঙ্গে আজ ১৫ এপ্রিল আসামী নূর মোহাম্মদকে এই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে পুলিশ প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয় যে, আসামী রাজীব ও বোরহান আদালতের জবানবন্ধীতে নূর মোহাম্মদের জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন।

আসামী নূর মোহাম্মদের মামা পুলিশ সদর দপ্তরের পুলিশ সুপার কফিল উদ্দিনের ছোট ভাই আঃ রহিম রানা জানায়, ১১ এপ্রিল কাপাসিয়া থানা পুলিশ নূর মোহাম্মদকে সন্ধ্যার দিকে বেগুনহাটি মাদ্রাসা এলাকা থেকে আটক করে। অতঃপর থানায় এনে সেলিনা বেগম হত্যার মামলায় স্বীকারোক্তি আদায়ের জন্য নির্যাতন করে। আজ সকালে তার ভাগিনা পুলিশি নির্যাতনে গুরুতর অসুস্থ হয়ে গেলে পুলিশ তাকে গাজীপুর আদালতে হাজির করে। আদালত কর্তৃপক্ষ আসামীর শারিরিক অবস্থা দেখে গ্রহন না করে পুনরায় পুলিশকে ফেরত দিয়ে দেয়। পুলিশ আসামীকে পুনরায় কাপাসিয়ায় নিয়ে যায়। অতঃপর কাপাসিয়া উপজেলা হাপসাতালে চিকিৎসা শেষে রাতে গাজীপুর আদালতের হাজতখানায় আনে।

নূর মোহাম্মদের আইনজীবী এডভোকেট বিউটি আক্তার জানান, আসামীকে নির্যাতন করে মিথ্যা স্বীকারোক্তি আদায়ের চেষ্টা করেছে পুলিশ। আসামীকে আটকের ৫ দিনের মাথায় গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় আদালতে হাজির করা হলে বিষয়টি জানাজানি হয়ে যায়। অতঃপর আদালত কর্তৃপক্ষ অসুস্থ আসামীকে গ্রহন করতে অস্বীকৃতি জানালে পুলিশ আসামীকে পুনরায় কাপাসিয়ায় নিয়ে যায়। রাতেই কাপাসিয়া উপজেলা হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা সনদ এনে আদালতের হাজত খানায় আনে কাপাসিয়া থানা পুলিশ।

এ বিষয়ে গাজীপুর কোর্ট পুলিশ পরিদর্শক রবিউল ইসলাম জানান, কাপাসিয়া থানার একটি আসামীর চালান ফরোয়ার্ডিং না আসায় আসামী ফেরত দেয়া হয়েছিল। এখন আসামী কোর্ট হাজতে আছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *