ঢাকা: বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী দাবি করেছেন, দলীয় চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া কারাগারে গুরুতর অসুস্থ। তিনি অসুস্থ হলেও এখন পর্যন্ত তাঁকে কোনো চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে না।
আজ রোববার বেলা সোয়া ১১টার দিকে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে রিজভী এই দাবি করেন।
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিবের ভাষ্য, সরকারি মেডিকেল বোর্ড মামুলি প্রহসনের এক্স-রে ও রক্ত পরীক্ষা করে খালেদা জিয়ার ফিজিওথেরাপির সুপারিশ করেছে। খালেদা জিয়া একজন বয়স্ক ও দেশের জনপ্রিয় নেত্রী। তিনি দীর্ঘদিন ধরে হাঁটু ও চোখের সমস্যায় ভুগছেন। তাঁকে কারাগারে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে রাখায় তাঁর আরও বেশ কিছু শারীরিক সমস্যা দেখা দিয়েছে।
রিজভী বলেন, সরকারি মেডিকেল বোর্ড বলেছে, খালেদা জিয়ার এক্স-রে রিপোর্টগুলোতে দেখা যাচ্ছে, তাঁর ঘাড়ে ও কোমরের হাড়ে সমস্যা আছে। এমন অবস্থায় এমআরআইসহ উন্নত পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়া শুধুমাত্র এক্স-রে ও রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে তাঁর সুনির্দিষ্ট ও সঠিক রোগ নির্ণয় সম্ভব নয়।
বিএনপির এই নেতা বলেন, খালেদা জিয়াকে যেদিন হাসপাতালে আনা হয়েছিল, সেদিন তাঁর ব্যক্তিগত চিকিৎসকদের ডাকা হলেও তাঁদের চিকিৎসাসেবার সুযোগ দেওয়া হয়নি। পরামর্শ নেওয়া হয়নি।
রিজভীর অভিযোগ, খালেদা জিয়াকে তিলে তিলে নিঃশেষ করার জন্যই তাঁকে পরিকল্পিতভাবে সাজা দিয়ে কারাবন্দী করা হয়েছে। এখন তাঁকে চিকিৎসার সুযোগও দেওয়া হচ্ছে না।
কারাগারে খালেদা জিয়ার সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠ আত্মীয়স্বজনদের দেখা করতে বাধা সৃষ্টি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন রিজভী।
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘চক্রান্ত বাদ দিয়ে খালেদা জিয়াকে অবিলম্বে মুক্তি দিন। তাঁর চিকিৎসা কিসে ভালো হয়, সেটি তাঁকে সিদ্ধান্ত নেওয়ার সুযোগ দিন। খালেদা জিয়ার ইচ্ছানুযায়ী তাঁর সুচিকিৎসা নিশ্চিত করুন।’
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদ, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আফজাল এইচ খান, সহসাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ, আবদুল আউয়াল খান, নির্বাহী কমিটির সদস্য আমিনুল ইসলাম, ঢাকা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার আবু আশফাক প্রমুখ।