দেহব্যবসাকাণ্ডে ক্লিনচিট পেলেন জাতীয় পুরস্কার জয়ী অভিনেত্রী শ্বেতাপ্রসাদ বসু। অবৈধ দেহব্যবসা চক্রে প্রত্যক্ষভাবে জড়িয়ে পড়ার কোনো প্রমাণ মেলেনি বলে হায়দ্রবাদের নামপালি দায়রা আদালত জানিয়েছে। ফলে শ্বেতাকে কোনো রকম চার্জ ছাড়াই মুক্তি দিল আদালত। আদালতের কাছ থেকে ক্লিনচিট পাওয়ার রায় বেরোনোর পর শ্বেতা বলেন, আমার নাম নিয়ে যে দ্বিধাদ্বন্দ্ব- সন্দেহ কয়েক মাস ধরে জমা হয়েছে তা থেকে রেহাই পেলাম। আমি যে নির্দোষ এবার অন্তত সবাই বিশ্বাস করবেন। অনেক মাস পর আমার মা-বাবা আবার হাসবে।
শ্বেতাকে দেহব্যবসায় জড়িত থাকার অভিযোগ গ্রেপ্তার করে পুলিসি হেফাজতে, পরে রেসকিউ হোমে পাঠানে হয়। মেয়ের মুক্তি চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন শ্বেতার মা। মধুচক্রে যুক্ত হিসেবে হায়দ্রাবাদের বাঞ্জারা হিলসের একটি হোটেল থেকে অভিনেত্রী শ্বেতাকে গ্রেপ্তার করেছিল ভারতীয় পুলিশ। গ্রেপ্তারের পর শ্বেতা নাকি পুলিশকে বলেছিলেন যে, দরিদ্রতার জন্যই এই পেশায় আসতে বাধ্য হয়েছেন। যদিও পরে এক সাক্ষাৎকারে শ্বেতা দাবি করেন, এক অ্যাওয়ার্ড শোয়ে অংশ নিতে গিয়ে সেখানে আটকে গিয়েছিলাম। কখনো পুলিশের কাছে এই পেশায় যুক্ত থাকার কথা স্বীকার করিনি।