ঢাকা: একজন পুলিশ কমিশনারের নেতৃত্বে গাজীপুর মহানগর পুলিশ নামে স্বতন্ত্র একটি পুলিশ বাহিনী গঠনের বিল পাস করেছে সংসদ। এই আইনে গাজীপুর মহানগর এলাকায় ফৌজদারি কাজে জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের কর্তৃত্ব রহিত করা হয়। তবে মেট্রোপলিটন আদালত স্থাপন না হওয়া পর্যন্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বিচারিক দায়িত্বে থাকবেন। এছাড়া এ আইনের কোনো বিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক না হওয়া পর্যন্ত মহানগর এলাকায় পুলিশ আইনই প্রযোজ্য হবে।
বুধবার (১১ এপ্রিল) রাতে ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বী মিয়ার সভাপতিত্বে সংসদের ২০তম অধিবেশনে গাজীপুর মহানগরী পুলিশ আইন, ২০১৮ বিলটি পাস করার প্রস্তাব করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। এর আগে বিলের ওপর কোনো সংশোধনী প্রস্তাব উত্থাপিত হয়নি। বিলটি যাচাই-বাছাই কমিটিতে পাঠানোর প্রস্তাব কণ্ঠভোটে নাকচ হয়ে যায়।
বিলে পুলিশকে বিনা ওয়ারেন্টে গ্রেফতারের ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে ৪৭, ৪৮, ৪৯, ৫০, ৫১, ৫২ ও ৫৩ ধারায় নির্ধারিত অপরাধ ব্যতিত অপরাপর অপরাধের বিষয়ে পুলিশ অফিসারের লিখিত রিপোর্ট ছাড়া বিচারার্থে আদালতে মামলা করার ক্ষমতা রহিত করা হয়েছে। এছাড়া বেওয়ারিশ সম্পত্তির দায়িত্ব গ্রহণ ও বিলিবণ্টন, অসুস্থ ও অক্ষম জীবজন্তু নিধন, সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে রাস্তায় তল্লাশির ক্ষমতা, পরিমাপ যন্ত্র ও দাঁড়িপাল্লা তল্লাশি, পরীক্ষা ও আটকসহ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে সুনির্দিষ্ট বিধান রাখা হয়েছে।
বিলে পুলিশ কমিশনারের ক্ষমতা, জনসাধারণকে নির্দেশ দেওয়ার ক্ষমতা, বিশৃঙ্খলা রোধ, জনস্বার্থে জনসমাবেশ ও মিছিল নিষিদ্ধকরণ, গান-বাজনা ইত্যাদি নিয়ন্ত্রণ, দাঙ্গা ইত্যাদি বন্ধ করা, চিত্তবিনোদনের স্থান ও জনসভায় গোলযোগের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ, জননিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা রক্ষায় বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ, কতিপয় অপরাধের জন্য দণ্ড ভোগকারী ব্যক্তির অপসারণ, অপরাধ, দণ্ড ও কার্যপদ্ধতি, বিনা পরোয়নায় গ্রেফতারসহ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে সুনির্দিষ্ট বিধান করা হয়েছে।
বিলে বাহিনী গঠন, বাহিনীর তত্ত্বাবধান, পুলিশ কমিশনার নিয়োগ, অধঃস্তন পুলিশ কর্মকর্তা নিয়োগ, বদলি, সহায়ক কর্মকর্তা নিয়োগ, বাহিনীর
প্রশাসন, অধঃস্তন পুলিশ কর্মকর্তাদের শাস্তি, পুলিশ কর্মকর্তার ক্ষমতা ও কর্তব্য, জনগণ ও গ্রেফতার ব্যক্তিদের প্রতি পুলিশ কর্মকর্তার কর্তব্য, রাস্তায় পুলিশ কর্মকর্তার কর্তব্য, নির্দেশ কার্যকর করায় পুলিশ কর্মকর্তার ক্ষমতা, পুলিশ কর্মকর্তার আইন-সঙ্গত নির্দেশ মানা ইত্যাদি বিষয়।