প্রিয়জনের সঙ্গে ভালোবাসা বিনিময়ের জরুরী একটি মাধ্যম হচ্ছে শারীরিক সম্পর্ক। তবে বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে নারী-পুরুষের যৌন কার্যকলাপ কমে যাওয়াতে মিলনের প্রতি ঝোঁক অপেক্ষাকৃত কম দেখা যায়। এতে আসতে পারে ভালোবাসায় অতৃপ্ততা।
এ সমস্যা সমাধানে কিছু উপায়ের কথা উল্লেখ করেছে কানাডাভিত্তিক সংবাদমাধ্যম সিবিসি। তাদের প্রতিবেদনে দেখা যায়, পুষ্টিসম্পন্ন কিছু খাবার যা মিলনের সময় বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখে। কী সেই খাবারগুলো? চলুন জেনে নিই-
মধু ও
ফুলকপি
শারীরিক সম্পর্কের প্রতি ঝোঁক বাড়াতে হরমোনের সমতা থাকা খুব দরকার। শরীরের হরমোন ব্যালেন্স করে মধু ও ফুলকপি। পুরুষের শরীর হতে নিঃসৃত হরমোন টেসটোস্ট্রোন এর পরিমাণ কমে গেলে যৌন মিলনে এর প্রভাব ফেলে। মধু ও ফুলকপিতে বোরন নামক এক জৈব পদার্থ উপস্থিত যা ইস্ট্রোজেন ও টেসটোস্ট্রোন নামক হরমোনের নিঃসরণে সমতা রাখে।
তরমুজ ও চকোলেট
যৌন আসক্তি বাড়াতে নিয়মিত তরমুজ ও চকলেট খাওয়ার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। তরমুজে প্রায় ৯২ ভাগ পানি ও বাকি আট ভাগে জৈব পদার্থ উপস্থিত। যা যৌনস্বাস্থ্য ভালো রাখে। এক বাক্স চকোলেট তৎক্ষণাৎ যৌন উত্তেজনা বাড়ায় না। তবে মিলনে প্রতি আসক্তি তৈরিতে চকোলেটের কোনো বিকল্প নেই।
মরিচ, ধনেপাতা, ত্রিফলা
যৌন উত্তেজনা বাড়াতে মরিচ খাওয়ার কোন বিকল্প নেই। শারীরিক সম্পর্কে প্রভাবিত করার ক্ষেত্রে মরিচ খাওয়া জরুরী বলে মনে করেন গবেষকরা। মরিচে ক্যাপসাইকিন নামক এক রাসায়নিক পদার্থ যা মুখে ঝাল স্বাদ দেয়। তবে এর ফলে রক্তের সঞ্চালন তুলনামূলক বেড়ে যায় যা যৌন হরমোন এন্ডোরফিন নিঃসরণে সাহায্য করে। অন্যদিকে ধনেপাতা ও ত্রিফলাতে প্রচুর পরিমাণে জৈব উপাদান উপস্থিত। যা মিলনের প্রতি আসক্তি ও উত্তেজনা বাড়ায়।
লবঙ্গ ও ডিম
যৌনরোগ থেকে পরিত্রাণে নিয়মিত ডিম ও লবঙ্গ খেতে পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। শতাব্দী ধরে যৌনরোগ নিরামক হিসেবে লবঙ্গ ব্যবহৃত হয়ে আসছে। যৌনের ক্ষেত্রে ডিমের প্রোটিন গুণের কথা হয়তো অনেকের মাথায় নেই। ডিমে প্রচুর পরিমানে অ্যামাইনো এসিড উপস্থিত যা যৌনরোগ প্রতিরোধে সক্ষম।