লন্ডন থেকে দুই মেয়ে জাফিয়া রহমান ও জাহিয়া রহমানকে সঙ্গে নিয়ে ঢাকায় এসেছেন বেগম খালেদা জিয়ার প্রয়াত ছেলে আরাফাত রহমানের স্ত্রী শার্মিলা রহমান সিঁথি। বিএনপির কয়েকজন জ্যেষ্ঠ নেতার সূত্রে জানা গেছে, পড়াশোনায় প্রাতিষ্ঠানিক ছুটি, তাই কারাবন্দি অসুস্থ দাদীকে দেখতে চেয়ে আবদার ধরেছিলেন কোকোর দুই মেয়ে। মেয়েদের আবদার পূরণেই ঢাকায় এসেছেন সিঁথি। বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে কথা বলেই শাশুড়ি খালেদা জিয়াকে দেখতে ঢাকায় এসেছেন কোকোর স্ত্রী। দেশে এসে তিনি সম্পূর্ণ পারিবারিক পরিবেশে চলাফেরা করছেন। তিনি রাজনীতি করতে আসেননি।
খালেদা জিয়ার গুলশানের বাসভবন ফিরোজায় অবস্থান করছেন কোকোর স্ত্রী ও দুই মেয়ে। তারা আত্মীয় স্বজনদের সঙ্গেই সময় কাটাচ্ছেন। বিএনপির একজন জ্যেষ্ঠ নেতা জানান, শার্মিলা রহমান আরও বেশ কিছুদিন দেশে থাকবেন। সেটা আগামী ৮ মে পর্যন্ত হতে পারে। উদ্দেশ্য, খালেদা জিয়া জামিন পেলে সার্বিক খোঁজ-খবর নিয়ে লন্ডন ফিরে যাবেন।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় গত ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে কারান্তরীণ রয়েছেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। বড় ছেলে তারেক রহমানও কয়েকটি মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা মাথায় নিয়ে সপরিবারে লন্ডনে অবস্থান করছেন। খালেদার ছোট ছেলে প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী ও দুই মেয়েও লন্ডনেই থাকছেন। কারাগারে খালেদা জিয়া অসুস্থ হয়ে পড়েছেন, এমন খবর প্রকাশিত হওয়ার পর লন্ডন থেকে দুই মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে দেশে আসেন শার্মিলা রহমান। দেশে আসার পরদিনই কারাগারে গিয়ে শাশুড়ির সাথে দেখা করেন। সর্বশেষ গত ৭ এপ্রিল রাজধানীর বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়েও শ্বাশুড়ির সঙ্গে দেখা করেছেন। এ দিকে শার্মিলা রহমান ঢাকায় আসার পর থেকে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর তাদের সার্বিক খোঁজ-খবর রাখছেন। রাজনীতির বাইরে থেকে সম্পূর্ণ পারিবারিক বন্ধনে তাদের মধ্যে একাধিকবার দেখা-সাক্ষাতও হয়েছে। প্রসঙ্গত, ৮ ফেব্রুয়ারি ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক ড. আক্তারুজ্জামানের আদালত খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন।
একই আদালত খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানসহ ছয় আসামির সবাইকে ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৪৩ টাকা ৮০ পয়সা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করেন। এ অর্থদণ্ডের টাকা প্রত্যেককে সমান অঙ্কে প্রদান করতে হবে বলে রায়ে উল্লেখ করা হয়। রায়ের পর থেকে নাজিমউদ্দিন রোডের পুরনো কারাগারে আছেন খালেদা জিয়া।