কাঁচা মাছ, কচ্ছপের রক্ত খেয়েই বেঁচে ছিলেন। এক বছরেরও বেশি সময় পর শেষমেশ ফিরে এসেছেন সভ্য জগতে। কিন্তু কিছুতেই মনে করতে পারছেন না তাঁর বাড়ির ঠিকানা, ফোন নম্বর এমনকি নিজের বয়স নিয়েও নিশ্চিতভাবে কিছু বলতে পারছেন না তিনি। জোসে সালভাডোর আলভারেঞ্জার সেই ভয়াবহ কাহিনী শুনে হতবাক সবাই। তাঁর মুখে বারবার একটাই কথা, আমি বেঁচে আছি! আমি বিশ্বাস করতে পারছি না।
জোসে দ্রুত তাঁর স্ত্রী ও ১০ বছরের কন্যার সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করতে চাইছেন। কিন্তু, নম্বর মনে করতেই পারছেন না তিনি। বয়স কত? সঠিক উত্তর জানেন না তিনি, বলছেন ৩৬ কিংবা ৩৮ হবে বলেই ধারণা তাঁর। মাছ ধরতে বেরিয়েছিলেন তিনি। এরপর আর মনে করতে পারেন না ঠিক কি হয়েছিল। নৌকা ভেসেযায় আট হাজার মাইল দূরে। প্রশান্ত মহাসাগরের মার্শাল দ্বীপে পৌঁছে যান তিনি। তারপর ১৪ মাস কেটে গেছে। কিভাবে কাটালেন তিনি? খেলেন কী?
উত্তরে জোসে জানিয়েছেন, খালি হাতেই সমুদ্র থেকে মাছ ধরা খুব সহজ ছিল। সেগুলোই খেতেন তিনি। ফিরে এলেও আপাতত মানসিক ও শারীরিকভাবে সুস্থ নন তিনি। দীর্ঘ বিশ্রামই তাঁর স্মৃতি ফিরিয়ে আনতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন চিকিৎসকরা। যেসব পাখি আর মাছ খেয়ে তিনি বেঁচে রয়েছেন, তাদের বারবার ধন্যবাদ জানাচ্ছেন জোসে। এই কদিনের জীবন সম্পর্কে তিনি একটাই শব্দ বলতে পারছেন,সমুদ্র, সমুদ্র আর সমুদ্র। সূত্র : কলকাতা