ভোলার তজুমদ্দিন উপজেলায় চরমোজাম্মেলে বাবার হাত-পা ও চোখ বেঁধে মায়ের সামনে কিশোরী মেয়েকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ওই কিশোরীর মা বাদী হয়ে তজুমদ্দিন থানায় ২ জনের নামোল্লেখ্যসহ ৬ জনকে আসামি করে মামলা করেছেন।
পুলিশ সূত্রে, উপজেলার বিচ্ছিন্ন দ্বীপ চরমোজাম্মেলে সোমবার রাত দেড়টায় ৬ জনের একটি দল ওই কিশোরীর বাড়িতে গিয়ে বলে আমাদের বাড়ি অনেক দূরে আমাদেরকে একটু পানি দেন। তাদের কথা শুনে কিশোরীর বাবা ঘরের দরজা খুললে তারা ঘরে ঢুকেই তার হাত-পা ও মুখ
বেঁধে ফেলেন এবং স্ত্রী ও মেয়েকে টেনে হিঁচড়ে ঘর থেকে বাইরে নিয়ে যায়। পরে মাকেও বেঁধে তার সামনে ৬ জন পালাক্রমে কিশোরীকে গণধর্ষণ করে।
এ সময় কিশোরীর চিৎকারে পার্শ্ববর্তী লোকজন লাইট নিয়ে বের হলে ধর্ষকরা পালিয়ে যায়। লাইটের আলোতে ২ ধর্ষককে চিনতে পারে ধর্ষিতার মা। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় বাবা, মা ও মেয়েকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য তজুমদ্দিনে পাঠানো হয়।
এ ঘটনায় ধর্ষিতার মা বাদী হয়ে চরমোজাম্মেলের ৬নং ওয়ার্ডের ইব্রাহিম মাঝির ছেলে সালাউদ্দিন (৩৫) ও একই এলাকার রহিম সারেংয়ের ছেলে মনির (২৭) নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ৪ জনকে আসামি করে মামলা করেন।
এই প্রসঙ্গে জুমদ্দিন থানার ওসি মো. ফারুক আহাম্মদ জানান, অভিযুক্ত আসামিদের গ্রেফতার করতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।