কোটা সংস্কার নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সুনির্দিষ্ট ঘোষণা না আসা পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ। বুধবার সকালে ঢাকা বিশ্ববিদালয়ের কেন্দ্রীয় পাঠাগারের সামনে সাংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা সংগঠনের যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ খান।
এ সময় তিনি কতভাগ কোটা কমানো হবে এর সুনির্দিষ্ট ঘোষণাও চান। সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হলে আন্দোলনে না আসার জন্য যে হামলা চালানো হয়েছে, তার তীব্র নিন্দা জানানো হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের আহ্বায়ক হাসান আল মামুন, যুগ্ম আহ্বায়ক ফারুক আহমেদ প্রমুখ।
লিখিত বক্তব্যে রাশেদ খান বলেন, সরকারের একেক ব্যক্তির একেক ধরনের বক্তব্য আমরা গ্রহণযোগ্য মনে করি না। এ সময় তিনি বলেন, যারা ভিসি স্যারের বাসায় হামলা চালিয়েছে ও আগুন দিয়েছে, তারা সুবিধাভোগী ও অনুপ্রবেশকারী। আমরা তাদের গ্রেপ্তারের দাবি জানাই।
এই সময় রাশেদ খান বলেন, সুফিয়া কামাল হলের ছাত্রলীগের সভাপতি আমাদের এক বোনের ওপর বর্বরোচিত হামলা চালিয়েছে। তাকে আজীবন বহিষ্কারে যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, তা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কার্যকরের দাবি জানাই। তিনি অভিযোগ করেন, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের আহ্বায়কদের আন্দোলন বন্ধ করে দেওয়া চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে। তিনি এ ধরনের কাজের নিন্দা জানান। আন্দোলনে বাধা না দিয়ে বরং এতে একাত্ম হওয়ার আহ্বান জানানো হয়।