চলন্ত বাসে পোশাককর্মীকে ধর্ষণ: আসামিরা রিমান্ডে

Slider নারী ও শিশু

cc1107dbb1c246a9093a95ef8df7e78e-5aae1122a6fb1

ঢাকা: ঢাকার ধামরাইয়ে চলন্ত বাসে এক পোশাককর্মীকে ধর্ষণের মামলায় গ্রেপ্তার পাঁচজনের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার ঢাকার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আবদুর রহমান এ আদেশ দেন।

গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা হলেন বাসচালক বাবু মল্লিক (২৪), যানবাহনের মিস্ত্রি আবদুল আজিজ (৩০), বাসের সুপারভাইজার বলরাম (২০), মকবুল হোসেন (৩৮) ও সোহেল (২২)।

ঢাকা জেলা পুলিশের আদালত পরিদর্শক আসাদুজ্জামান বলেন, আজ এই পাঁচজনকে আদালতে হাজির করে ধামরাই থানা-পুলিশ সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করে। ঘটনার রহস্য উদ্‌ঘাটনের জন্য এই রিমান্ড চাওয়া হয়। শুনানি শেষে আদালত তাঁদের প্রত্যেকের তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

ধর্ষণের এই মামলা তদন্ত করছেন ধামরাই থানার পুলিশ পরিদর্শক জাকারিয়া।

ভুক্তভোগী পোশাককর্মী ও ধামরাই থানার পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ওই তরুণী (২৩) ধামরাইয়ের শ্রীরামপুরের একটি পোশাক কারখানার কর্মী। থাকেন ধামরাইয়ের ইসলামপুরে। ছুটির পর গত রোববার রাত নয়টার দিকে তিনি বাসায় যেতে কারখানার সামনে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে বাসের অপেক্ষায় ছিলেন। রাত সোয়া নয়টার দিকে সেখান থেকে সাভারগামী যাত্রীসেবা পরিবহন নামের একটি বাসে ওঠেন। বাসটি শ্রীরামপুর থেকে পরের বাসস্ট্যান্ড কালামপুর পৌঁছালে তিনি ছাড়া অন্য যাত্রীরা নেমে যান। এ সুযোগে চালক বাসটি ঘুরিয়ে মানিকগঞ্জের দিকে যেতে থাকেন। কিছু দূর যাওয়ার পর সোহেল বাসের নিয়ন্ত্রণ নেন। পরে বাসচালক বাবু মল্লিক ও আবদুল আজিজ তরুণীকে একাধিকবার ধর্ষণ করেন। অন্যরা এতে সহায়তা করেন। তখন সোহেল বাস ঘুরিয়ে আবার সাভারের দিকে যাচ্ছিলেন।

সূত্র আরও বলেছে, বাসটি জয়পুরা বাসস্ট্যান্ডের অদূরে পৌঁছালে মেয়েটি সুযোগ পেয়ে চিৎকার শুরু করেন। ধামরাই থানার টহল পুলিশ চিৎকার শুনে বাসটি থামানোর চেষ্টা করে। কিন্তু পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে বাসটি চলতে থাকলে পুলিশ ধাওয়া করে। একপর্যায়ে পুলিশ বাসটি আটক এবং তরুণীকে উদ্ধার করে। এ সময় বাসটিতে থাকা সাতজনকেই আটক করে পুলিশ। তাদের মধ্যে দুজন ছিল বাসচালকের শিশু সহকারী।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *