বড় মেয়ে ভালোই আয়-উপার্জন করছে। এ কারণে বড় মেয়ের দেখানো পথেই ছোট মেয়েকেও ওই কাজে নামিয়ে দিতে চেয়েছিলেন মা। যদিও ওই মায়ের উদ্দেশ্য হাসিল হয়নি। পুলিশের হাতে ধরা খেয়ে তিনি আপাতত কারাবন্দি অবস্থায় দিন কাটাচ্ছেন।
জানা গেছে, নাবালিকা ওই মেয়েকে জোরপূর্বক দেহ ব্যবসায় নামানোর অভিযোগ ওই মাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ভারতের মুম্বাইয়ে এ ঘটনাটি ঘটেছে। ভারতীয় একটি গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, ওই নারীর দুই মেয়ে রয়েছে। তার স্বামী ঠিকা শ্রমিকের
কাজ করেন। গরিব এই পরিবারটি কয়েক দিন আগেই রাজস্থান থেকে মুম্বাইয়ে আসেন। মুম্বাইয়ে আসার পরেই ওই নারীর বড় মেয়ে একটি বারে কাজ করতে শুরু করে দেন। তারপরে সেখান থেকে ‘দেহ ব্যবসায়’ জড়িয়ে পড়েন তিনি। ওই নারীর বড় মেয়ে প্রতিদিন প্রায় ১০ হাজার টাকা রোজগার করতেন।
এটা দেখে নিজের ছোট মেয়েকেও ‘দেহ ব্যবসায়’ নামাতে তার উপরে প্রচণ্ড চাপ দিতে থাকেন ওই মা। দালাল মারফত দিয়ে নিজের নাবালিকা মেয়েকে দেহ ব্যবসার নামার কথা জানান ওই নারী। কিন্তু সোর্স মারফত সেই খবর আগে ভাগেই পেয়ে যায় পুলিশ। ইতোমধ্যে ওই নারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
টাকার জন্য নিজের মেয়েকে দিয়ে ‘দেহ ব্যবসা’! কী করে মা এমন পথে মেয়েকে নামাতে পারেন। সত্যিই এটা ভেবে সাধারণ লোকজনের অবাক হওয়া ছাড়া আর উপায় নেই।