সুচিকিৎসার অভাবে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার কোনো ক্ষতি হলে এর চরম দায় সরকারকেই নিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, এ ছিনিমিনি খেলা বন্ধ না করলে কোটি কণ্ঠের হুঙ্কারে এ সরকারের গদিকে উল্টে দিতে জনগণ পিছপা হবে না।
আজ শনিবার বিকেলে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
রিজভী এ সময় সরকারের প্রতি অভিযোগ করে বলেন, সম্পূর্ণ অপ্রস্তুতভাবে বেগম খালেদা জিয়াকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য আজ হাসপাতালে আনা হয়েছে। কারাগারে তার কক্ষের কাছে গিয়ে বার বার তাগিদ দিতে থাকে কর্মকর্তাসহ ৭/৮ জন কারারক্ষী।
তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসা নিয়ে সরকার আজ যে বায়েস্কোপ দেখালো তা নিন্দা করার ভাষা খুঁজে পাচ্ছি না। দেশনেত্রীর প্রতি সরকারের এ বাতিকগ্রস্ত উদ্ভট আচরণের তীব্র প্রতিবাদ ও ধিক্কার জানাচ্ছি।
রিজভী বলেন, একজন মুসলিম ধর্মপ্রাণ নারী হিসেবে ৩০-৩২ বছর ধরে তিনি শাড়ির উপরে চাদর অথবা ওড়না পরিধান করেন। এ সরকার এত হীন এবং কুৎসিৎ মনোবৃত্তির যে একজন বয়স্কা নারী যিনি সাবেক প্রধানমন্ত্রী ছিলেন তাঁকে চাদর অথবা ওড়না পরিধান করার সুযোগও পর্যন্ত দেয়নি।
রিজভী অভিযোগ করে বলেন, পরিবারের সদস্যরা হাসপাতালে ছুটে গেলে সেখানে পরিবারের সদস্যদের পর্যন্ত দেখা করতে দেওয়া হয়নি। দেশনেত্রীর গাড়ি হাসপাতালে এসে পৌঁছলে তাঁকে একরকম টানাহেঁচড়া করে উপরে উঠানো হয়। গাড়ি থেকে নামার জন্য সিঁড়ি পর্যন্ত দেয়া হয়নি।
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, হাবিবুর রহমান হাবিব, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ প্রমুখ।