হরিণ হত্যার মামলার রায়ে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড হয়েছে বলিউড সুপারস্টার সালমান খানের। বৃহস্পতিবার যোধপুরের চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট দেব কুমার খতরি পাঁচ বছরের কারাদণ্ডে এ রায় ঘোষণা করেন। একই সঙ্গে তাকে ১০ হাজার রূপি জরিমানাও করা হয়।
বলিউডের প্রভাবশালী অভিনেতা সালমান খানকে বৃহস্পতিবারের রাতটা জেলেই কাটাতে হয়েছে । জেলখানায় তিনি ১০৬ নম্বর কয়েদি। চার দেয়ালের মাঝে বর্তমানে এটাই বলিউড ভাইজানের পরিচয়। জামিন না হওয়া পর্যন্ত এই পরিচয় নিয়েই তাকে হাজতবাস করতে হবে।
জেলের মধ্যে সলমানকে কোনও ভিআইপি ব্যবস্থা দেওয়া হবে না বলে আগেই জানিয়েছিলেন যোধপুরের ডিআইজি (কারা) বিক্রম সিং। যেমন কথা তেমনি কাজ। অর্থাৎ গ্যালাক্সির বিলাসবহুল বিছানা ছেড়ে জেলের মধ্যে কাঠের খাটের উপর ঘুমানোর ব্যবস্থা হয় সলমনের। কিন্তু বৃহস্পতিবার জেলের মেঝেতে শুয়েই রাত কাটান অভিনেতা। জেলে প্রথম রাত কাটানোর জন্য সলমনকে ৪টি কম্বল দেওয়া হয়। কিন্তু কোনও কিছু তিনি ব্যবহার করেননি। পাশাপাশি রাতে জেলের কোনও খাবারই তিনি মুখে তোলেননি।
বৃহস্পতিবার জেলে রাত কাটানোর জন্য সলমানের ম্যানেজার তাকে বেশ কিছু পোশাক এবং স্ন্যাকস দিতে যান। কিন্তু সলমানের কাছে পোশাক পৌঁছে দিলেও, স্ন্যাকস দেওয়া হয়নি। এরপর রাতের খাবার হিসেবে সলমানকে রুটি, ছোলার ডাল এবং বাধাকপির তরকারি দেওয়া হয়। তবে সেসব কিছুই মুখে তোলেননি তিনি।
শুধু তাই নয়, অন্য কয়েদিদের মত সলমনকেও জেলের জলই দেওয়া হয়। তাতে কোনওরকম আপত্তি জানাননি তিনি। বাকি কয়েদিদের মতো জেলের শৌচাগার ব্যবহার করেছেন সলমান। শুক্রবার সকালে প্রাতরাশে সলমানকে দেওয়া হয় চা, ডালিয়া এবং খিচুড়ি। কিন্তু কিছুই মুখে তোলেননি ভাইজান।
আজ শুক্রবার তার জামিনের আবেদন মামলার শুনানি হবে। যোধপুর সেশন কোর্টে সকাল ১০.৩০ নাগাদ নিয়ে যাওয়া হবে সলমানকে। ইতিমধ্যেই যোধপুর সেন্ট্রাল জেল নিরাপত্তার ঘেরাটোপে মুড়ে ফেলা হয়েছে। সলমানের জন্য বাড়তি নিরাপত্তারক্ষী মোতায়েন করা হয়েছে। যোধপুর সেন্ট্রাল জেলের ২ নম্বর ব্যারাকে আপাতত তার সঙ্গী ধর্ষণে অভিযুক্ত স্বঘোষিত ধর্মগুরু আসারাম বাপু।