বাংলাদেশের মতো রাস্তা নির্মাণ পদ্ধতি দুনিয়ার কোথাও নেই। দীর্ঘ সময় ধরে বলা হচ্ছে এই অচল পদ্ধতি পরিবর্তনের জন্য, কিন্তু আপনারা তা শুনছেন না। সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সাথে এডিপি বা বাস্তবায়নের পর্যালোচনায় পরিকল্পনামন্ত্রী এই অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, আমরা রাস্তাগুলো এমনভাবে নির্মাণ করবো যেনো সড়কে একটি শিশুও মারা না যায়। কোনো ধরণের গর্ত না থাকে।
শেরেবাংলা নগরস্থ এনইসি অডিটোরিয়ামে বৃহস্পতিবার বাস্তাবয়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ণ বিভাগ (আইএমইডি) আয়োজিত সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের এডিপির পর্যালোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্যে এই কথাগুলো বলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আইএমইডি সচিব মফিজুল ইসলাম।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, চাইনিজ ঠিকাদারদের থেকে সাবধানে থাকবেন। আমি ব্যবসা করতে গিয়ে অনেক অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি। তিনি বলেন, রাজধানীর এই মেট্রো রেলের জন্য পুরো রাস্তা বন্ধ করে দিয়ে মানুষকে কষ্ট দিচ্ছেন কেন? পারলে তো পুরো বাংলাদেশকে বন্ধ করে দিয়ে কাজ করবেন আপনারা। বিদেশে রাস্তার এধরণের কাজ ২৫ মিটার করে। সেটুকু শেষ হলে পরের অংশ ধরে। এতে করে জনদূর্ভোগ হয় না। তিনি বলেন, রাস্তার ৫/৬ কিলোমিটার পর পর বে নির্মান করতে হবে। বাজার, স্কুলের জন্য ফুটওভার ব্রিজ করতে হবে। আমাদের অবহেলার কারনে যেন একটি বাচ্চাও মারা না যায়। তিনি বলেন, ১শ’ থেকে ২শ কোটি টাকার প্রকল্প যেন প্রকল্প ঋণে নেয়া না হয়। হাজার কোটি টাকার এবং দীর্ঘমেয়াদী প্রকল্প পিএতে নিতে হবে। যাতে করে কাজ বাধাগ্রস্থ হবে না।
অনুষ্ঠানে প্রকল্প পরিচালকরা জানান, দাতা সংস্থার সময়ক্ষেপণের কারনে পিএ’র টাকা অপব্যয়িত থেকে যাচ্ছে। প্রকল্পের চারটি প্যাকেজের তিনটি চায়না কোম্পানি। তারা যে প্রোফাইল দেখিয়েছিল বাস্তবে তা না। পিডি সাসেক বলেন, প্রায় ১৫০ কোটি টাকা ব্যয় করতে পারবে না। টাকা এডিবির ঋন। এডিবির দেরিতে কনকারেন্স করার জন্য। এটা উপযোজন করতে চায়।