খাদ্য ভাণ্ডার হিসেবে পরিচিত ঠাকুরগাঁও জেলায় চলতি মৌসুমে আমনের বাম্পার ফলন হয়েছে। ইতিমধ্যে হাটবাজারে ব্যাপক হারে আমন ধান উঠতে শুরু করেছে। কিন্তু বাজারে আমন ধানের ন্যায্যমূল্য না পাওয়ায় কৃষকদের মাঝে হতাশা দেখা দিয়েছে।
গত বছর আমন ধান উৎপাদন করে কৃষকেরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পরপর কয়েকটি মৌসুমে লোকসান গুনার পর এ বছর আমন ধানের ন্যায্যমূল্য পাবেন- এ আশায় কৃষকরা ব্যাপক জমিতে আমন ধান রোপণ করেন।
কৃষি বিভাগের মতে, ঠাকুরগাঁও জেলায় এক লাখ ৩২ হাজার ৯৩৭ হেক্টর জমিতে আমন ধান রোপণের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়। আর আমন ধান চাষ করা হয় এক লক্ষ ৩৪ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে।’
রোপণ মৌসুমের শুরুতে পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাত না হলেও চাষিরা সেচ দিয়ে জমিতে ধান রোপণ করে। নন ইউরিয়া সারের ব্যবহার বাড়লেও ইউরিয়া সারের ব্যবহার কম করায় ক্ষেতে এবার পোকামাকড় ও রোগ বালাই তেমন একটা দেখা যায়নি।
ইতিমধ্যে জেলায় আমন ধান কর্তন প্রায় শেষের দিকে। কৃষকেরা পারিবারিক ও আলু, গম রোপণের জন্য হাটবাজারে ধান বিক্রি করছেন। বাজারে ধানের আমদানিও ব্যাপক। কিন্তু মণ প্রতি ৫০০ থেকে সাড়ে ৬ টাকা দরে ধান বিক্রি হচ্ছে। এতে গত বছরের ন্যায় এবছরও কৃষিকেরা লোকসান গুণছেন। কৃষকদের দাবি মণ প্রতি ৮০০ টাকা দাম নির্ধারণ করলে কৃষকদের লোকসান গুণতে হত না।
কৃষক শরিফুল ইসলাম জানান, প্রথম দিকে এক হাজার টাকা মণ দরে ধান বিক্রি করেছি। কয়েকদিন ধরে ধানের দাম অর্ধেকে নেমে এসেছে। এতে করে উৎপাদিত মূল্য উঠছে না।
ধান ব্যবসায়ি সাদেক হোসেন জানান, বাইরে থেকে ধানের বড় পাটি জেলায় ঢুকছে না। তার ক্ষুদ্র ব্যবসায়িরা কম দামে ধান কিনছে।
এ ব্যাপারে ঠাকুরগাঁও কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক ভূপেশ কুমার মন্ডল জানান, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবং সময় মতো বৃষ্টিপাত হওয়ায় ঠাকুরগাঁও এ বছর আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। প্রথম দিকে বাজারে ভাল দাম পেলেও বর্তমান বাজার কম হওয়ায় কৃষক লোকসান গুণছেন।