রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ দু’দিনের সফরে আজ (বুধবার) বিকালে বাগেরহাটের মোংলা বন্দরে যাচ্ছেন। মোংলা বন্দর সফরের প্রথম দিন আজ সন্ধ্যায় মোংলা বন্দরের ৬৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ভাষণ দেবেন। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে প্রথমেই তিনি বন্দরের প্রশাসনিক ভবন চত্বরে একটি বৃক্ষ রোপন করবেন। এরপর অনুষ্ঠানে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান কমডোর একেএম ফারুক হাসানের স্বাগত বক্তব্যের পর বন্দরের উপর নির্মিত ভিডিও চিত্র দেখবেন। রাষ্ট্রপতিসহ আমন্ত্রিত অতিথিদের বক্তৃতা শেষে বন্দরের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কেক কাটবেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠানের প্রথমভাগে রাষ্ট্রপতির ভাষণের পর রাতে দ্বিতীয় ভাগে তার সম্মানে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে যোগ দিবেন। মোংলা বন্দরের রেষ্টহাউস ‘পারিজাতে’ রাত্রিযাপনের পর বৃহস্পতিবার সকালে জাহাজযোগে পশুর চ্যানেল পরিদর্শন করবেন তিনি।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান কমডোর একেএম ফারুক হাসান বলেন, রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ মোংলা বন্দরে ৪টি প্রকল্পের ভিত্তি প্রস্তার ও ২টি প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন। জি-টু-জি প্রক্রিয়ায় চীনের অর্থায়নে মোংলা বন্দরের দুইটি টার্মিনাল এবং পিপিপি’র প্রক্রিয়ায় আরো দুইটি মোট ৪টি টার্মিনাল নির্মাণের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করবেন রাষ্ট্রপতি। এছাড়া নদীতে ছড়িয়ে পড়া তেল দ্রুত অপসারনে পশুর ক্লিনার- ১ নামের ফিনল্যান্ড থেকে কেনা একটি নতুন জাহাজের কমিশনিং প্রদান ও মোংলা থেকে রামপাল পর্যন্ত নৌ-চ্যানেলের ড্রেজিং কার্যক্রমেরও উদ্বোধন করবেন তিনি।
পরদিন বৃহস্পতিবার সকাল ১১টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত জাহাজযোগে মোংলা বন্দর ও বন্দরের চ্যানেল এলাকা পরিদর্শন করবেন রাষ্ট্রপতি। রাষ্ট্রপতির মোংলা বন্দর সফরকে ঘিরে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। সেই সাথে মোংলা বন্দর এলাকায় পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা, সৌন্দর্য্যবর্ধনে ব্যাপক আলোক ও সাজসজ্জার আয়োজন করা হয়েছে। বন্দর চেয়ারম্যান ফারুক হাসান আরো বলেন, বন্দর প্রতিষ্ঠার পর এই প্রথম মোংলা বন্দরের কোন অনুষ্ঠানে একজন রাষ্ট্রপতির আগমন ঘটছে। তার এই আগমনে মোংলা বন্দরে নতুন মাত্রার যোগ হলো। তার পদচারণায় এ বন্দর আরো অধিক গতিশীল হয়ে উঠবে বলে আশা সকলের। এদিকে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের আগমনে মোংলা-রামপালাবাসীর পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন স্থানীয় এমপি আলহাজ্ব তালুকদার আব্দুল খালেক।