ফাঁকা রেস্টুরেন্টে প্রেম করতে গিয়ে বেরসিক জনতার হাতে ধরা পড়া ঝালকাঠির নলছিটি থানার কনস্টেবল নাজমুল হাসান সুজন বিয়ে করতে চলেছেন। ওইদিন প্রেমের সম্পর্ক অস্বীকার করলেও সেই মেয়ের সঙ্গেই বিয়ের জন্য কনস্টেবলের পরিবারের লোকজন কথা বলেছেন বলে জানা গেছে।
সোমবার নলছিটি থানার ওসি (তদন্ত) আব্দুল হালিম তালুকদার এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি আরও বলেন, স্থানীয়রা যা অভিযোগ করেছে তা সত্য নয়। ঘটনার আগে থেকেই ওই পরিবারের সঙ্গে বিয়ে নিয়ে কথা বার্তা চলছে।
সৌজন্যতার খাতিরে সেদিন তারা রেস্টেুরেন্টে কফি খেতে গিয়েছিলেন। সেখানে আরও অনেকেই ছিল বলে দাবি করেন তিনি।
তবে স্থানীয়রা জানায়, এসএসসি পরীক্ষার্থী মেয়ের (১৬) সঙ্গে বছর খানেক আগে নলছিটি থানার কনস্টেবল নাজমুল হাসানের (২৮) প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এর সূত্র ধরে শনিবার দুপুরে প্রেমিকার সঙ্গে ডেটিং করতে অপসোরা ফুড গার্ডেন নামে একটি রেস্টুরেন্টে যান নাজমুল। আর তা টের পেয়ে যায় স্থানীয়রা।
রেস্টুরেন্টে ওই সময় লোকজনের আসা-যাওয়া না দেখে বিষয়টি তাদের কাছে সন্দেহজনক মনে হয়। শেষ পর্যন্ত দু’জনকে অনেকটা ‘আপত্তিকর অবস্থায়’ ধরে ফেলেন তারা। খবর পেয়ে নলছিটি থানার এসআই (উপ-পরিদর্শক) মিজান ঘটনাস্থলে পৌঁছে কনস্টেবল নাজমুলকে থানায় নিয়ে যান এবং মেয়েটিকে রিকশাযোগে বাসায় পাঠিয়ে দেন।
স্থানীয়রা আরও জানায়, কনস্টেবল নাজমুল সাড়ে ৩ বছর আগে নলছিটি থানায় যোগদান করেন। এরপর বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে স্কুল ও কলেজ পড়ুয়া একাধিক মেয়ের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন নাজমুল। তার প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হলে মেয়েদের অভিভাবকদের বিভিন্নভাবে হয়রানি করেন তিনি। তারা অভিযোগ করে বলেন, এর আগেও কর্তৃপক্ষকে ম্যানেজ করে ওই রেস্টুরেন্ট ফাঁকা করে স্থানীয় অনেক মেয়ে নিয়ে ‘ফূর্তি’ করেছেন নাজমুল। এতদিন ভয়ে কেউ কথা বলেনি।
ধরা পড়ার পর মেয়েটি জানান, নাজমুল নামের ওই পুলিশ সদস্যের সঙ্গে তার কোনো প্রেমের সম্পর্ক নেই। বরং নামজুল তাকে বিয়ে করার জন্য একাধিকবার প্রস্তাব দিয়েছেন। ঘটনার দিন বাসা থেকে বের হতে দেখে নাজমুল তার পিছু নিয়ে ওই রেস্টুরেন্টে আসেন।
তবে ঘটনার দিনই ওই মেয়েকে বিয়ের করতে চান বলে জানিয়েছিলেন পুলিশ কনস্টেবল নাজমুল। তিনি বলেন, মেয়েটিকে তিনি বিয়ে করতে চান। কিছু গুরুত্বপূর্ণ কথা বলার জন্য তাকে(মেয়ে) ওই রেস্টুরেন্টে ডেকে আনা হয়েছিল।