বরগুনার আমতলীর নাচনাপাড়া গ্রামের কুমারী (২১) নামের এক বাক প্রতিবন্ধী ৫ মাসের অন্তঃসত্তা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার এ ঘটনায় তার দাদা ও চাচাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আটককৃত চাচা সাইফুল জোমাদ্দার (২১) ও দাদা জসিম জোমাদ্দার (৫০) ওই একই গ্রামের বাসিন্দা।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আবুল বাশার জানান, গত বছর অক্টোবর মাসে ওই প্রতিবন্ধীকে চাচাত দাদার ছেলে সাইফুল জোমাদ্দার মোবাইল ফোনে ছবি দেখার কথা বলে তাদের ঘরে নিয়ে যায়। পরে চাচা সাইফুল জোমাদ্দার একাধিকবার জোরপূর্বক ধর্ষণ করে তাকে। এতে প্রতিবন্ধী অন্তঃসত্তা হয়ে পড়ে। এ ঘটনা জানাজানি হলে ওই সময় স্থানীয় প্রভাবশালী একটি মহল শালিস বৈঠকে মিমাংসা করে দেয়ার কথা বলে কালক্ষেপন করতে থাকে। ধর্ষক সাইফুলের বাবা প্রতিবন্ধীর বাবাকে এ ঘটনা কাউকে না বলার জন্য শাসায়।
এদিকে প্রতিবন্ধীর শারীরিক অবস্থার পরিবর্তন দেখা দেয়। এ মাসের মাঝামাঝি সময়ে আমতলী তামান্না ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ওই প্রতিবন্ধীর আল্ট্রসনোগ্রাম করলে ৫ মাসের অন্তঃসত্তা হয়েছে বলে চিকিৎসক প্রতিবেদনে উল্লেখ করেন।
বৃহস্পতিবার রাতে প্রতিবন্ধির বাবা আমতলী থানায় অভিযোগ দায়ের করলে পুলিশ এ ঘটনার সাথে জড়িত সাইফুল জোমাদ্দার ও ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার জন্য তার বাবা জসিম জোমাদ্দারকে গ্রেফতার করে। এ ঘটনায় সাইফুল জোমাদ্দারকে প্রধান আসামী করে প্রতিবন্ধীর বাবা দুজনের নামে মামলা দায়ের করে।
পুলিশ আসামী পিতা-পুত্রকে শুক্রবার আমতলী সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে প্রেরণ করলে আদালতের বিচারক মো. হুমায়ুন করিব তাদের জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। প্রতিবন্ধির বাবা কান্নাজনিত কন্ঠে বলেন, আমার প্রতিবন্ধি মেয়ের এ সর্বনাশের সঠিক বিচার চাই।