বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বহরে যুক্ত হচ্ছে বোয়িং এর তৈরি চারটি ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার বিমান। এই চার বিমানের নাম ঠিক করেদিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। চার বিমানের জন্য প্রধানমন্ত্রীর দেয়া নাম গুলো হল- আকাশবীণা, হংসবলাকা, গাঙচিল ও রাজহংস। ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে নামগুলো পৌঁছেছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের কাছে।
বিমান সূত্রে জানা গেছে, অভ্যন্তরীণ সার্কুলারের মাধ্যমে বিমানের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কাছ থেকে ড্রিমলাইনার বিমানের নাম সংগ্রহ করা হয়। বিমানের গঠিত বাছাই কমিটি প্রাপ্ত নাম থেকে ৪০টি নামের তালিকা করে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠায়। সেই তালিকা থেকে চারটি বিমানের জন্য নাম অনুমোদন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বিমান সূত্রে জানা গেছে, প্রতিটি বিমানের গায়ে কালো রং দিয়ে বাংলায় সুতন্নী এমজে ফন্টে, ইংরেজিতে হেলভিটিকা ফন্টে নামগুলো লেখা হবে।
সূত্র জানায়, বিমান ২০০৮ সালে বোয়িং কোম্পানির সঙ্গে ১০টি উড়োজাহাজ কেনার জন্য চুক্তি করে। এরমধ্যেই ছয়টি বিমানের বহরে যুক্ত হয়েছে। বাকি চারটি ড্রিমলাইনারের দুটি বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার চলতি বছরের আগস্ট ও নভেম্বরে দেশে আসবে। বাকি দুটি ড্রিমলাইনার বিমানের বহরে যুক্ত হবে ২০১৯ সালের নভেম্বরে।
এ প্রসঙ্গে বিমানের মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) শাকিল মেরাজ বলেন, ‘বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার বিমান সর্বাধুনিক প্রযুক্তির। এ বছরেই দুটি বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার বিমানের বহরে যুক্ত হবে। বিমানগুলো পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। এজন্য পাইলট, প্রকৌশলীসহ সংশ্লিষ্ট সব বিভাগের কর্মীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।’
ড্রিমলাইনার প্রসঙ্গে শাকিল মেরাজ বলেন, ‘বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার বিমানে আকাশেও ওয়াই-ফাই সুবিধা পাবেন যাত্রীরা। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৪৩ হাজার ফিট উচ্চতায় ভ্রমণকালীন ওয়াই-ফাই সুবিধা ছাড়াও ফোনে কথা বলার সুবিধা পাবেন যাত্রীরা। এ বিমানে থাকছে বিশ্বমানের ইন-ফ্লাইট এন্টারটেইনমেন্ট সিস্টেম (আইএফই)।’
নয়টি টিভি চ্যানেলের রিয়াল টাইম লাইভ দেখার ব্যবস্থা রয়েছে বলেও জানান শাকিল মেরাজ। এছাড়া, জ্বালানি সাশ্রয়ী এই বিমানে থাকছে বিজনেস ক্লাস ২৪টি ও ইকোনমি ক্লাস ২৪৭টি সহ মোট ২৭১টি আসন।