নিজস্ব প্রতিবেদকঃ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, মাদক ও জঙ্গিবাদ হচ্ছে একজন তরুণের সবচেয়ে বড় শত্রæ। এই দু’টিকে প্রধান শত্রæ মনে করতে হবে। কারণ মাদক ও জঙ্গিবাদ অজুত সম্ভাবনা নিয়ে তিলে তিলে গড়ে উঠা একজন তরুণকে নিমিষেই ধ্বংস করে দিতে পারে। তাই মাদক ও জঙ্গিবাদ থেকে সব তরুণকে দূরে থাকতে হবে।
শনিবার দুপুরে কক্সবাজার জেলার দ্বিতীয় বৃহত্তম শিক্ষা প্রতিষ্টান সিটি কলেজের রজতজয়ন্তী উৎসবে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্য করে একথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, বর্তমানে তথ্য-প্রযুক্তির দাপট চলছে বিশ্বজুড়ে । তথ্য-প্রযুক্তি ছাড়া কোনো কিছুই করা যাচ্ছে না। তাই বিশ্বজুড়ে শিক্ষাখাতের অবয়বেও পরিবর্তন এসেছে। এখন সবখানে তথ্য-প্রযুক্তি বহুল প্রসার হয়েছে। বাংলাদেশকেও এই কাতারে শামিল করতে ডিজিটাল বাংলাদেশের রূপকল্প তৈরি করা হয়েছে।
এর মধ্যে এটা স্পষ্ট যে, যারা তথ্য-প্রযুক্তিতে শিক্ষিত হবে তারাই আগামীর বাংলাদেশের নেতৃত্ব দেবে। এই জন্য দেশের শিক্ষাখাতকে প্রযুক্তি নির্ভর করে তরুণদের প্রযুক্তি জ্ঞানে শিক্ষিত করা হবে। এর মাধ্যমে আগামী ২১ সালে আমরা তথ্য-প্রযুক্তি, জ্ঞানভিত্তিক ও তারুণ্য নির্ভর সমৃদ্ধ বাংলাদেশের ৫০ বছর জন্ম উৎসব করব।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, তারুণ্যের অভাবে ইউরোপ-আমেরকিার মত উন্নত দেশগুলো তাদের অনেক শূন্যতা পূরণ করতে পারছে না। কারণ তরুণেরা যা পারে অন্যদের দিয়ে তা কখনোই সম্ভব না। সেই প্রেক্ষাপটে আমরা বড়ই ভাগ্যবান। কারণ বাংলাদেশে তারুণ্যের সংখ্যাই বেশি। এখন দরকার এইসব তরুণদের যোগ্য করে গড়ে তোলে কাজে লাগানো। তিনি বলেন, এই লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
কক্সবাজার সিটি কলেজের অধ্যক্ষ ক্য থিং অংয়ের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত রজতজয়ন্তীর এই উৎসবে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কক্সবাজার সদর-রামু আসনের সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞান অনুষদ ডিন কক্সবাজারের কৃতিসন্তান ড. ফরিদ উদ্দীন আহমেদ, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অ্যাডভোকেট একে আহামদ হোসেন, কলেজের পরিচালনা কমিটির সহ-সভাপতি অধ্যাপিকা এথিন রাখাইন, অ্যাডভোকেট আমজাদ হোসেন, অ্যাডভোকেট ফরিদুল আলম ও ইঞ্জিনিয়ার বদিউল আলম।
স্বাগত বক্তব্যে অধ্যক্ষ ক্য থিং অং বলেন, রজত জয়ন্তী হবে কক্সবাজার সিটি কলেজের টার্নিং পয়েন্ট। এরপরে আমরা এগিয়ে যাবো নতুন উদ্যমে। তিনি সিটি কলেজকে দেশের অন্যতম মডেল কলেজে রূপান্তরের দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।’
এর আগে সকাল সাড়ে টায় কক্সবাজার শহরের শহীদ দৌলত ময়দান থেকে এক বর্ণাঢ্য র্যালির মধ্যে কক্সবাজার সিটি কলেজের রজতজয়ন্তী উৎসবের সূচনা হয়। পরে কলেজ ক্যাম্পাসে এক দীর্ঘ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে স্মৃতিচারণ, প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন ও এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতি অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। রজতজয়ন্তীতে অংশ নিয়েছেন বর্তমান ও প্রাক্তনসহ অন্তত পাঁচ হাজার ছাত্রছাত্রী। তাদের পদভারে কলেজ ক্যাম্পাস জুড়ে বিরাজ করছে উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টি হয়।