রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘নিউইয়র্ক ফেডারেল রিজার্ভ থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের ৮১ মিলিয়ন ডলার চুরি হওয়ার ঘটনা রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় হয়েছে বলে এফবিআই নিশ্চিত করেছে। বিশ্বের সর্ববৃহৎ রিজার্ভ চুরির ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের নাম প্রকাশের কাছাকাছি পৌঁছেছে বলে এফবিআই জানিয়েছে। দলের পক্ষ থেকে আমরা যে অভিযোগ করেছিলাম, সেটিও এখন সত্য হয়ে দাঁড়িয়েছে।’
বিএনপি নেতা রিজভী বলেন, বিশ্বের ইতিহাসে এত বড় ব্যাংক ডাকাতির ঘটনার তদন্ত প্রতিবেদন অর্থমন্ত্রী কেন এত বছর ধরে আটকিয়ে রেখেছেন, এফবিআইয়ের রিপোর্টে সেটি এখন পরিষ্কার। আওয়ামী ক্ষমতাসীনরা সাধারণ মানুষের টাকা চুরির উন্নয়ন ছাড়া আর কোনো উন্নয়নই করেনি। এত বড় একটা চুরি-চোট্টামি হলো অথচ সরকারের কোনো অনুশোচনা নেই।
রিজভী বলেন, জনশ্রুতি আছে যে রিজার্ভ চুরির পেছনে বাংলাদেশ ব্যাংকে এমন একজন ক্ষমতাধর ব্যক্তি আছেন, যাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের ক্ষমতা সরকারের নেই। বাংলাদেশ নামক স্টেটের ওপরে সুপারস্টেট কার্যকর আছে বলেই জনগণের টাকা হাওয়ায় মিলিয়ে যায়। এই সুপারস্টেট কারা, তা জনগণ জানে। তিনি বলেন, তাদের ঘাঁটালে নাকি সরকারের গদিও নড়ে যাবে। আওয়ামী লীগ যত দিন ক্ষমতায় থাকবে, দেশের ফাঁড়া তত দিন কাটবে না। আসলে দুর্নীতিরই ছদ্মনাম আওয়ামী লীগ।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি নেতা খায়রুল কবির, রুহুল কুদ্দুছ তালুকদার, আবদুস সালাম আজাদ, আমিনুল ইসলাম প্রমুখ।