সম্প্রতি সিএনএনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মার্কিন পর্ন তারকা স্টর্মি ড্যানিয়েল দাবি করেন, যৌনসম্পর্কের পরই ট্রাম্প তার বড় মেয়ে ইভাঙ্কা ট্রাম্পের সঙ্গে তার তুলনা করতো। অন্যদিকে সাবেক মডেল তারকা কারেন ম্যাকডোগালও একই দাবি করেছেন। ম্যাকডোগাল বলেন, যৌনসম্পর্কের পর ট্রাম্প আমায় বলতেন, পৃথিবীতে আমার মতো সুন্দর কেবল একজনই আছে, আর সে হলো ইভাঙ্কা ট্রাম্প।
২০১৬ সালে নিউ ইয়র্ক টাইমস এক প্রতিবেদনে জানায়, সাবেক এক বিশ্বসুন্দরীর সঙ্গে আলাপকালে ট্রাম্প ওই বিশ্বসুন্দরীকে জানান, ট্রাম্পের কন্যা ইভাঙ্কা আরও হট, আরও সুন্দরী। যে সময় ট্রাম্প ওই বিশ্বসুন্দরীকে ওই মন্তব্য করেন, তখন ইভাঙ্কার বয়স মাত্র ১৬ বছর। এদিকে ইভাঙ্কার বয়স যখন ২২ তখন হোয়ার্ড স্টার্ন বলেন, তুমি কি জানো, পৃথিবীর সেরা সুন্দরী কে? সবার মতে সে হলো, আমার মেয়ে, যাকে আমি জন্ম দিয়েছি।
মেয়ে ইভাঙ্কা ট্রাম্পকে নিয়ে ট্রাম্পের সব মন্তব্যের মধ্যেই ছিল যৌনতার ছড়াছড়ি। মার্কিন মনোবিজ্ঞনী জর্ডান রিট ট্রাম্পের এই মন্তব্যের পেছনে মনোবিজ্ঞানের দুইট কারণ হাজির করেছেন। প্রথমত, পৃথিবীতে এমন এক ধরণের মানুষ আছেন, যারা পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ জিনিসগুলোকে নিজের সঙ্গে তুলনা করতে চান। নিজের কর্তৃত্বাধীনদের সঙ্গে তুলনা করতে চান। ট্রাম্প হয়তো ওই শ্রেণীর। তাই ট্রাম্প হয়তো নিজের মেয়ের সঙ্গেই ওদের তুলনা করেছেন।
এ ছাড়া ওই ধরণের মানুষগুলো ভঙ্গুর আত্মমর্যাদার মানুষ হওয়ায় তারা নিজেদের ক্ষমতাধর, গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ করতে চান। এজন্য তাদের দরকার প্রয়োজনীয় সহায়তা। তারা নিজেদের রক্ষণশীল হিসেবে চিন্তা করে। মিরর সাপোর্টিংয়ের মাধ্যমে তারা নিজেদের রক্ষা করতে চায়। নিজেদের গুরুত্বপূর্ণ করে তুলতে চায়। সেক্ষেত্রে ট্রাম্প হয়তো নিজের কর্মক্ষমতা প্রমাণে বলতে, ইভাঙ্কার মতো সুন্দর মেয়েকে আমি জন্ম দিয়েছি।
দ্বিতীয়ত হলো, পৃথিবীতে এমন কিছু বাবা আছে, যারা তাদের মেয়ের প্রতি আকৃষ্ট। কিন্তু প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ক্ষেত্রে সে ঘটনাটাই ঘটছে কি না সে ব্যাপারে নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। তবে যে ব্যক্তি তার যৌনসঙ্গীর সঙ্গে নিজ মেয়ের তুলনা করতে পারেন, তারা ওপর এ তত্ত্ব প্রয়োগ হবে না, এটি বিশ্বাসযোগ্য নয়। ট্রাম্পের আচরণে দুই ধরণের তত্ত্বই খাটে বলে মনে করেন ওই বিশেষজ্ঞ।