এডিসি জ্যোতির্ময় সরকারের প্রচেষ্টায় মেহেদীর খুনিরা গ্রেফতার

Slider সিলেট
IMG_20180329_141927
সিলেট প্রতিনিধি :: এডিসি জ্যোতির্ময় সরকার’র অক্লান্ত প্রচেষ্টা ও বুদ্ধিদৃপ্ত কর্মদক্ষতায় গত ২৬ শে মার্চ রাতের আধারে ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে সিলেট নগরীর ক্বীনব্রীজ এলাকায় শাবি ছাত্র মেহেদী আল সালাম খুনের ঘটনায় ক্লু উদ্ধার ও হত্যাকারীদের গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
স্বল্প সময়ে বিশেষ অভিযানে সফলতা দেখিয়ে এডিসি জ্যোতির্ময় সরকার শুধু চমকই সৃষ্টি করেননি তিনি প্রমাণ করেছেন পুলিশ চাইলে সব কিছুই পারে।
শাবির সাবেক ছাত্র এডিসি জ্যোতির্ময় সরকার তারই বিশ্ববিদ্যালয়ের জুনিয়র নিহত মাহদির হত্যাকারীদের গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করেছেন।
গভীর রাতে ছিনতাই হওয়ার কারনে হত্যাকান্ডের কোন প্রত্যক্ষদর্শী ছিলনা। তবুও বিষয়টি চ্যালেঞ্জ হিসেবে নেন এসএমপি’র অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ-ক্রাইম) জনাব জ্যোতির্ময় সরকার। তিনি প্রথমেঃ- পুলিশ নিহত মাহিদ এর ভাড়াকৃত রিক্সাচালকে খোঁজতে থাকেন। সমস্ত জায়গায় তন্ন তন্ন করে খুঁজে পুলিশ। কোন সুরাহ্ পাচ্ছিল না। খোঁজাখুজির এক পর্যায়ে ঘটনাস্থলের একজন প্রত্যক্ষদর্শীর মোবাইল ফোনে শুধুমাত্র রিক্সার একটি ছবি পান। তারই সুত্র ধরে খুজে বের করেন আসামীদের দুজনকে।
নিজ ভার্সিটির জুনিয়রের হত্যাকান্ড মর্মাহত করে এডিসি জ্যোতির্ময় সরকারকে। ফলে তিনি হত্যার ক্লু উদ্ধারে প্রানপণ মাঠে নামেন। জ্যোতির্ময় সরকার দক্ষিণ সুরমা থানার ওসি খায়রুল ফজল ও এসআই রিপন দাস প্রমুখকে নিয়ে একটি বিশেষ টিম গঠন করেন। এবং শুধুমাত্র একটি রিক্সার ছবি দিয়ে খুজে বের করেন হত্যাকারীদের।
এসএমপি’র সুদক্ষ, চৌকষ ও মেধাবী এই পুলিশ কর্মকর্তা জ্যোতির্ময় সরকার (শাবিপ্রবি’র সাবেক ছাত্র) ইতিপূর্বে অনেক ক্লু-লেস মামলা উদ্ঘাটন ও চুরী, ছিনতাই, ডাকাতি হওয়া মালামাল উদ্ধার সহ ছিনতাইকারী গ্রেফতার করে ভূয়সী প্রশংসা কুঁড়িয়ে নিয়েছেন।
তাই তিনি মেহেদি হত্যা মামলার বিষয়ে হাল ছাড়তে নারাজ। অক্লান্ত পরিশ্রমের একপর্যায়ে তিনি রিক্সা ও চালককে আটক করতে সক্ষম হন। রিক্সা চালকের বাড়ী দিনাজপুর। রিক্সা চালকের দেয়া তথ্য ও বিবরণ অনুযায়ী গতরাত ১২.৩০ ঘটিকার সময় নগরীর ভার্থখলা থেকে দুজন ছিনতাইকারীকে গ্রেফতার করেন দক্ষিণ সুরমা থানা পুলিশ। গ্রেফতারকৃত আসামিরা হলেন- ছিনতাইকারী- মির্জা আতিক ও তোফায়েল মুহাম্মদ রিপন।
ছিনতাইকারী মির্জা আতিক মেহেদি আল সালাম হত্যার কথা স্বীকার করে আদালত ১৬৪ধারায় জবানবন্দী প্রদান করেন। তার ভাষ্যমতে- মূলত ছিনতাই কাজে বাধা প্রধান করার কারনে মেহেদি কে হত্যা করা হয়েছে। ছিনতাই কাজে মোট ৪জন অংশ নিয়েছিল। বাকি ২জন কে আটক করতে পুলিশী অভিযান অব্যাহত আছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *