লজ্জা নারীর ভূষণ হলেও পুরুষেরা যে লজ্জা পায়না তা কিন্তু নয়। এমন অনেক কিছুই রয়েছে যা প্রকাশ্যে বলতে লজ্জা পায় পুরুষ জাতি। কিছু বিষয় রয়েছে যা গোপন রাখতে পছন্দ করেন পুরুষেরা। এমনকী কখনও কখনও নিজের কাছেও স্বীকার করতে চান না। তেমন কিছু তথ্য তুলে ধরা হলো।
বাড়ির কাজ করি: হতেই পারে বাড়ির কাজ করতে কোনও পুরুষের ভাল লাগে। রান্না করা কিংবা বাগান সাজানো। অথবা ঘর পরিষ্কার রাখার কাজ করতে ভালবাসেন। এতে তো লজ্জার কোনও কারণ নেই। কিন্তু অনেক পুরুষই মনে করেন এ সব কথা কর্মক্ষেত্রে বা বন্ধুদের জানালে পুরুষত্বে আঘাত লাগতে পারে। অনেকে আবার ভাবতে পারেন সংসারে স্ত্রী বা মায়ের ইশারাতে হয়তো তিনি কাজ করেন। সেই ভয়েই এসব কথা লুকিয়ে রাখেন তাঁরা।
স্ত্রী বেশি উপার্জন করে: তথাকথিত পুরুষতান্ত্রিক সমাজে আজও অনেক পুরুষই মহিলাদের সবদিক থেকে পিছিয়ে রাখতে চান। কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে মহিলারাও যে সব বিষয়ে পারদর্শী, এ কথা মেনে নিতে আজও যেন অনেকের বাধে। অহং বোধে কোথাও যেন জোর ধাক্কা লাগে। আর তাই গর্বের সঙ্গে অনেক পুরুষই স্বীকার করতে চান না, যে স্ত্রী তাঁর তুলনায় বেশি উপার্জন করেন। কারণ এতে গর্ব নয়, বরং হীনমন্যতাতেই ভোগেন তাঁরা। অনেক সময় বেতনের তারতম্যই দাম্পত্য সুখের কাঁটা হয়ে দাঁড়ায়। তবে সব পুরুষই এমন নন। স্ত্রী মোটা অর্থ রোজগার করলে খুশিই হন স্বামী। গর্ব করে সে কথা বলতেও ভালবাসেন সকলকে।
আবেগপ্রবণ: মহিলারা চোখের জল দিয়েই কোনও তর্ক জিতে নিতে পারেন। পুরুষদের আলোচনায় এ কথা অনেকবারই ওঠে। কিন্তু পুরুষদের চোখে জল? নৈব নৈব চ। পুরুষরাও যে আবেগপ্রবণ হয়ে থাকেন, এ কথা যেন মেনে নিতে পারেন না তাঁরা। কষ্ট পেলে তাঁদের চোখে জলও যে স্বাভাবিক, তা নিজের মনকেও বোঝাতে পারেন না। চোখে জল দেখে কেউ যদি দুর্বল ভাবেন, এ আশঙ্কাই মনে ঘুরপাক খায় তাঁদের।
যৌন জীবন নিয়ে আলোচনা: পুরুষরাই যৌন জীবন নিয়ে আলোচনা করবেন। মহিলাদের ধারণা অনেক ক্ষেত্রে এমনটাই হয়। চান তাঁর পার্টনারই যেন এ নিয়ে কথা শুরু করেন। কিন্তু এ বিষয়টি আবার না-পছন্দ অনেক পুরুষের। পার্টনার যদি এ নিয়ে প্রথমে কথা বলেন, তাহলে খুশিই হন পুরুষেরা। বরং আলোচনা আরও সরস হয়ে ওঠে। তবে পার্টনার পাছে যৌন পিপাসু ভাবে, সে চিন্তাতেই আর সে কথা জানিয়ে ওঠা হয় না।
অন্য পুরুষকে দেখা: পাশ দিয়ে অন্য কোনও টল-ডার্ক-হ্যান্ডসাম পুরুষ হেঁটে গেলেন। কিন্তু যে পুরুষের পাশ দিয়ে গেলেন তার ভাবখানা এমন, যে সেদিকে তাকাননি তিনি। কোনও আগ্রহই নেই দেখার। কিন্তু না, অনেক ক্ষেত্রে এমনটা বোঝাতে চাইলেও তা ওপর ওপরই। কারণ অনেক পুরুষই অন্য লোকের পোশাক, হাঁটার স্টাইল, চুলের স্টাইল, জুতো বা সানগ্লাসের ব্র্যান্ড ইত্যাদি দেখতে ভালবাসেন। সোশ্যাল মিডিয়াতেও অন্য পুরুষদের প্রোফাইল দেখেন লুকিয়ে। কিন্তু এ স্বীকারোক্তি আবার সর্বসমক্ষে করা যায় নাকি? এক্কেবারে নয়।