কেপটাউন টেস্টে বল টেম্পারিংয়ের দায়ে ইতিমধ্যেই অস্ট্রেলিয়ার নেতত্ব ছেড়েছেন স্টিভেন স্মিথ। আইসিসি শাস্তিও দিয়েছে তাকে। তার চেয়েও বড় শাস্তি হয়তো দিতে যাচ্ছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। পাশাপাশি তার ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) ক্যারিয়ারও হুমকির মুখে পড়ে গেল! আসন্ন আইপিএলের একাদশ আসরে রাজস্থান রয়্যালসের অধিনায়কত্ব হারাতে হতে পারে তাকে। প্রায় সাড়ে ১২ কোটি রুপির বিনিময়ে এবার স্মিথকে দলে ভিড়িয়েছে রাজস্থান।
স্মিথ যদি অধিনায়কত্ব হারান তাহলে এই পদে নিশ্চিতভাবেই বসতে যাচ্ছেন অজিঙ্কা রাহানে। বিষয়টি দ্রুতই নিষ্পত্তি করা হবে বলে ফ্র্যাঞ্চাইজিটির এক ঘনিষ্ঠ সূত্র নিশ্চিত করেছেন। রবিবার রয়্যালস কর্তৃপক্ষ এ ব্যপারে আলোচনাও করেছে এবং বেশিরভাগ সদস্যই বিতর্কিত বিষয় এড়িয়ে সুষ্ঠ সমাধানের পক্ষে মত দিয়েছেন। যদিও বিসিসিআইয়ের সাথে পরামর্শ করেই সব ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে সূত্রটি ইঙ্গিত দিয়েছে।
রয়্যালসের এক্সিকিউটিভ চেয়ারম্যান রঞ্জিত বারঠাকুর এক বিবৃবিতে জানিয়েছেন, ‘অস্ট্রেলিয়া-দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজে সংঘটিত বল টেম্পারিং বিষয়টি আমরা সবাই অবগত হয়েছি। এই ব্যপারে আমাদের দল যেকোনো খেলোয়াড়ের প্রতি জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করবে।’
পরিস্থিতি নিরিখে একটি বিষয় অন্তত নিশ্চিত, স্মিথ রয়্যালসের অধিনায়কত্ব হারাচ্ছেন। দূর্নীতির দায়ে ২ বছরের নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে এবার আবারো আইপিএলে ফিরেছে রাজস্থান রয়্যালস। সে কারণেই নিজেদের ইমেজ রক্ষা করাই এখন দলটির সামনে মূল চ্যালেঞ্জ।
আইপিএল চেয়ারম্যান রাজীব শুক্লা বলেছেন, ‘স্মিথের বিপক্ষে আইসিসির আনুষ্ঠানিক কোন ঘোষণা আসার পরেই এ ব্যাপারে বিসিসিআই ও রাজস্থান রয়্যালস পদক্ষেপ নিবে। এ পর্যন্ত বিসিসিআই কিংবা ফ্র্যাঞ্চাইজি কারো পক্ষ থেকেই কোন সিদ্ধান্ত আসেনি।’
এদিকে হায়দ্রাবাদেও একই অবস্থা বিরাজ করছে। সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের অধিনায়ক হিসেবে ডেভিড ওয়ার্নার দায়িত্ব পালন করলেও বল টেম্পারিং ইস্যুতে ওয়ার্নারও অস্ট্রেলিয়া দলের সহ-অধিনায়কের পদ ছেড়েছেন। যদিও সানরাইজার্সেও পক্ষ থেকে বিষয়টি নিয়ে এই মুহূর্তে কেউ কোনো কথা বলতে রাজী হয়নি। আরো কিছুদিন তারা অপেক্ষা করতে চায়।