‘নানা ভাষা, নানা মত, নানা পরিধান/ বিবিধের মাঝে দেখো মিলন মহান’। বিশ্বের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ভারতের অন্যতম বিশেষ বৈশিষ্ট তুলে ধরতে কবিতায় এই লাইন দুটি তুলে ধরেছিলেন কবি অতুলপ্রসাদ সেন। সেই একই সুর শোনা গেল লেখিকা তসলিমা নাসরিনের গলায়।
ঘটনার সূত্রপাত, বড় বাজেটের বলিউড ছবি মহাভারতের কাস্টিং নিয়ে। রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ মুকেশ অম্বানি সহ-প্রযোজক হিসেবে কাজ করতে চাইছেন ১০০০ কোটি বাজেটের মহাভারত ছবির। এবং এতে চাওয়া হয়েছিল আমির খানকে। শোনা গিয়েছিল, আন্তর্জাতিক মানের লেখকেরা কলম ধরবেন এই ছবির স্ক্রিপ্টের জন্য।
এক সাক্ষাৎকারে ছবির সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে আমির খান জানান, মহাভারতের কর্ণ চরিত্রটি তাঁর খুব পছন্দের। কিন্তু শোনা যায়, তিনি নাকি ভগবান শ্রীকৃষ্ণের ভূমিকাতে দেখা দেবেন এই বিগ বাজেট ছবিতে।
ট্যুইটারে খবরটি ছড়িয়ে পড়তেই বিষয়টি অন্য ধরনের মোড়কের মধ্যে ঢুকে যায়। অনেকেই প্রশ্ন তোলেন যে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের ভূমিকায় কিভাবে একজন মুসলিম অভিনেতা অভিনয় করতে পারেন। আর এই বিষয়টির বিরুদ্ধেই মুখ খুলেছেন জাভেদ আখতার। তাঁর মতে সমগ্র বিষয়টিকে সাম্প্রদায়িকতার দিক থেকে দেখা হচ্ছে।
এই সাম্প্রদায়িকতা বিতর্কের মাঝেই নতুন তত্ত্ব নিয়ে এসেছেন ভারতে ‘নির্বাসিত’ বাংলাদেশের লেখিকা তসলিমা নাসরিন। তাঁর মতে, ‘যোধা আকবর ছবিতে অভিনয় করেছিলেন হৃত্বিক রোশন। মহাভারত ছবিতে কৃষ্ণের চরিত্রে অভিনয় করবেন আমির খান। এটাই সম্প্রীতির ভারত যাকে আমি ভালোবাসি।’
২০০৮ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি মুক্তি পায় আশুতোষ গোয়ারিকর পরিচালিত ছবি যোধা আকবর। মুঘল সম্রাট আকবর ও তার স্ত্রী যোধার প্রেমের গল্প নিয়ে নির্মিত ছবিটিতে নাম ভূমিকায় অভিনয় করেন হৃতিক রোশন ও ঐশ্বর্যা রাই বচ্চন।
সূত্র: কলকাতা ২৪x৭