গলা থেকে গর্দান নামায়ে দেবো : শামীম ওসমান

Slider ঢাকা
grambanglanews24.com
ফাইল ছবি grambanglanews24.com

 

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

দেশের আলোচিত-সমালোচিত ব্যক্তি নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের এমপি এ কে এম শামীম ওসমান বলেছেন, ‘শতকরা নব্বই ভাগ মানুষ বিদায় হজ শুনছে। কিন্তু মানে বোঝে নাই। আরবি পড়ছে কিন্তু বোঝে নাই। আধুনিক বাচ্চারা যারা বিভিন্ন ইংলিশ মিডিয়ামে পড়তেছে, ইউনিভার্সিটিতে পড়তেছে তাদের থেকেই জঙ্গি হয়, মাদরাসা থেকে হয় না। কারণ সে কোরআন জানেই না ভালো করে। সে ভুল শিক্ষা নিতেছে।’

শহরের জামতলা কেন্দ্রীয় ঈদগাঁও মাঠে শুক্রবার রাতে দারুল ইসলাহ মাদরাসার হাফেজ ছাত্রদের দস্তারবন্দি উপলক্ষে বার্ষিক ওয়াজ ও মাহফিল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘ইসলাম নিয়া কথা বলার দুই তরিকার মানুষ আছেন। একটায় ইসলাম কয়, আরেকটায় কি কয় কিছুই জানে না। সুশীল কিছু আছে। হাতাকাটা জামা পইরা নারী স্বাধীনতা চায়। ইসলামে যতো নারী স্বাধীনতা আছে, কোন ধর্মে তা নাই। তাই আমরা আমাদের দায়িত্ব পালন করতে হবে। আসেন সকলকে সহীহ কোরআন, সহীহ হাদিস শিক্ষা দেই। আল্লাহর রাসুল বলেছেন, প্রত্যেক নর ও নারীর জন্য জ্ঞানার্জন করা ফরজ। কারণ জ্ঞান মানুষকে উন্নত করে। জ্ঞানীর কলমের কালি শহীদের রক্তের চেয়ে দামি।’

শামীম ওসমান দুটি পত্রিকার কঠোর সমালোচনা করে বলেন, ‘তারা কি লেখে তাতে আমার কিছু আসে-যায় না। আমি পড়িও না। এ সময় তিনি মুসল্লিদের উদ্দেশ্য করে বলেন, আপনারা সব ঈমানদার লোক। প্রতিবাদ করেন কি করেন না, আমি জানি না। কিন্তু আমি প্রতিবাদ করছি। সংসদে দাঁড়িয়ে প্রতিবাদ করছি। বাংলাদেশে এতো বড় বড় আলেম আছে, তারপরেও ওই পত্রিকা বাংলাদেশে চলে। যারা আল্লাহ-রাসুলকে নিয়া ব্যঙ্গচিত্র আঁকে, কার্টুন আঁকে, তাদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের এতো বড় বড় আলেম কিছু বলেন নাই। কেন বলেন না, জানি না। আমি শামীম ওসমান সবচেয়ে পাপিষ্ঠ মুসলমান হয়ে সংসদে দাঁড়িয়ে তাদের বিরুদ্ধে কথা বলছি। আমি শামীম ওসমান তাদের পত্রিকা পয়সা দিয়ে কিনি না। আমি তাদের সঙ্গে আপোস করবো না। রাজনীতি রাজনীতির জায়গায় আর আমার ধর্ম আমার জায়গায়। কোন ধর্মের উপর আঘাত করবো না, কাউকে আঘাত করতেও দেবো না। কিন্তু আমার ধর্ম মানো না, মাইনো না। তুমি আমার আল্লাহর রাসুলকে নিয়া যদি কোন কটূক্তি করো তাহলে আমি শামীম ওসমান এমপিগিরি ছাইড়া দিমু, গলা থেকে গর্দান নামায়ে দেবো। কোন ছাড় হবে না।’

বার্ষিক ওয়াজ ও মাহফিলের প্রধান বক্তা ছিলেন আল্লামা জুনায়েদ আল হাবিব। বিশেষ বক্তা হিসেবে ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আল্লামা জোবায়ের আহমাদ আনসারী, ঢাকার আল্লামা খালেদ সাইফুল্লাহ আইয়ূবী। বার্ষিক ওয়াজ ও মাহফিলের সভাপতিত্ব করেন আলীরটেক মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা আলহাজ হাফেজ আব্দুস সাত্তার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *