যুক্তরাষ্ট্রের ওকলাহোমার এক নারী নিজের মেয়েকে বিয়ে করেছেন। আর এ কারণে দুই বছর কারাগারে কাটাতে হবে সেই নারীকে। ৪৫ বছর বয়সী প্যাট্রিসিয়া অ্যান স্প্যানকে এই শাস্তি দেওয়া হয়েছে। মেয়ের আগে ছেলেকেও বিয়ে করেছিলেন প্যাট্রিসিয়া। ছেলে পরে এই বিয়ে বাতিল করে দেন।
সমকামিতা বৈধ হলেও ওকলাহোমা অঙ্গরাজ্যের আইনে খুব নিকট আত্মীয়দের মধ্যে যৌনাচার নিষিদ্ধ। ওকলাহোমায় সমকামী বিয়ে বৈধতা পাওয়ার পর ২০১৬ সালে প্যাট্রিসিয়া তার ২৬ বছর বয়সী মেয়ে মিস্টি ভেলভেট ডন স্প্যানকে বিয়ে করেছিলেন।
প্যাট্রিসিয়ার গর্ভে মিস্টির জন্ম হলেও ছোট থাকতেই তার মা থেকে বিচ্ছিন্ন ছিলেন মিস্টি। ২০১৪ সালে মা-মেয়ের পুনর্মিলন হয়। এর দুই বছরের মাথায় বিয়ে করেন তারা। শিশুদের পরিচর্যা নিয়ে কাজ করে আসা সংস্থা ডিপার্টমেন্ট অব হিউমেন সার্ভিস প্রথম মা-মেয়ের বিয়ের বিষয়টি ধরেন। পরে তা আদালতে গড়ায়।
সংবাদমাধ্যম ওকলাহোমান জানিয়েছে, মিস্টি গত অক্টোবরে এই বিয়ে বাতিল করেন। মিস্টি যুক্তি দেখান, তাকে ভুল তথ্য দিয়ে প্রতারিত করা হয়েছিল। তিনি জানান, তার মা তাকে বলেছিলেন, এই ধরনের বিয়েতে আইনি কোনো বাধা নেই। বিষয়টি নিয়ে তিনজন আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলে নিশ্চিত হওয়ার কথা মেয়েকে বলেছিলেন প্যাট্রিসিয়া, যা মিথ্যা ছিলো বলে এখন বুঝতে পারছেন মিস্টি। তবে একই অপরাধে শাস্তি এড়াতে পারেননি মিস্টিও। তাকে ১০ বছর পর্যবেক্ষণ ও কাউন্সেলিংয়ের মধ্যে থাকতে হবে।
গত মঙ্গলবার থেকে প্যাট্রিসিয়ার কারাজীবন শুরু হয়েছে। তবে, মুক্তির পর আট বছর তাকে পর্যবেক্ষণে থাকতে হবে। বিয়ের ক্ষেত্রে প্যাট্রিসিয়ার যুক্তি ছিল, মিস্টির জন্ম সনদে যেহেতু মা হিসেবে তার নাম নেই, সেহেতু এই বিয়ে বৈধ বলেই তিনি মনে করছিলেন।
সূত্র: দ্য মিরর