নিহত ছাত্রী ওই বাড়ির আবদুস ছালামের মেয়ে এবং ওবায়দিয়া সুলতানিয়া দারুস সালাম মাদ্রাসার নবম শ্রেণীর ছাত্রী।
স্বপ্নার মা রাশেদা বেগম জানান, তার মেয়ে স্বপ্না মাদ্রাসায় যাওয়া-আসার সময় তাদের প্রতিবেশী নূর ইসলামের ছেলে মাকসুদুর রহমান (২২) স্বপ্নাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে প্রেমের সর্ম্পক গড়ে তোলে।
তিনি আরো বলেন, গত এক বছর ধরে তাদের মধ্যে মোবাইল ফোনে নিয়মিত কথাও হতো। শুক্রবার দিবাগত রাতে খাবার খেয়ে স্বপ্না তার ঘরে গিয়ে শুয়ে পড়ে। ঘরে প্রবেশের পর মোবাইলে কথোপকথনের শব্দ শোনা যায়।
পরে রাতে তিনি ঘুমিয়ে পড়ার পর কোনো এক সময়ে স্বপ্না ঘরের দরজা খুলে বাহিরে যায়। সকালে তাকে তার ঘরে না দেখে তিনিসহ বাড়ীর লোকজন খুঁজতে গিয়ে বাড়ির আঙ্গিনায় স্বপ্নার মরদেহ একটি গাছের সঙ্গে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় দেখতে পান। পরে চরজব্বর থানাকে অবহিত করা হয় বলে জানান তিনি।
এদিকে স্বপ্নার বাবা আ. সালাম জানান, মাকসুদুর রহমান স্বপ্নাকে মোবাইলের মাধ্যমে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে ধর্ষণের পর তাকে হত্যা করে গাছের সঙ্গে ঝুলিয়ে রেখেছে। ঘটনার পর থেকে মাকসুদ পলাতক রয়েছে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আবুল কাশেম জানান, খবর পেয়ে তিনি পুলিশের সাথে উপস্থিত থেকে মরদেহ উদ্ধারে সহযোগিতা করেন। স্বপ্না ও মাকসুদুর রহমানের প্রেম আলাপের বেশ কিছু রেকডিং সহ স্বপ্নার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি পুলিশ জব্দ করেছে বলেও জানান তিনি।
চরজব্বর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নিজাম উদ্দিন জানান, গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় মাদ্রাসা ছাত্রীর মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, সুরতহাল দেখে ধারণা করা হচ্ছে ওই ছাত্রী আত্মহত্যা করেছে। তবে বিষয়টি তারা খতিয়ে দেখছেন।