‘এটা বিচার বিভাগকে দলীয়করণের প্রতিবাদ’

Slider জাতীয়

304282_112

 

 

 

 

সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের ২০১৮-১৯ সালের নির্বাচনে বিএনপি ও জামায়াত সমর্থিত জাতীয়তাবাদী ঐক্য প্যানেল নিরঙ্কুশ জয় পেয়েছে। সভাপতি পদে টানা দ্বিতীয় বারের মতো জয়ী হয়েছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন। আর টানা ষষ্ঠবারের মতো সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার এএম মাহবুব উদ্দিন খোকন। ২০১৭-১৮ সালের নির্বাচনেরও ১৪ টি পদের মধ্যে সভাপতি ও সম্পাদকসহ আটটি পদে জয়ী হয় জাতীয়তাবাদী ঐক্য প্যানেল।

দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে সর্বোচ্চ আদালতের আইনজীবীরা সিদ্ধান্ত গ্রহণে ভুল করেনি। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় আইনজীবীরা কাজ করতে চায়। কিন্তু সরকার সেটি করতে দিচ্ছে না। সরকার বিচার বিভাগকে কুক্ষিগত করার চেষ্টা করছে। সম্প্রতি সরকার বিচার বিভাগকে যেভাবে দলীয়করণ করছে, এ বিজয় তার প্রতিবাদ। আইনজীবীরা অন্যায়ের জবাব দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট বারের নির্বাচনের মাধ্যমে বলে মনেকনের নবনির্বাচিতরা।

এ বিষয়ে বিএনপি ও জামায়াত সমর্থক প্যানেলের বিপুল বিজয় সম্পার্কে নবনির্বাচিত সভাপতি জয়নুল আবেদীন বলেন, দেশের মানুষ বিচার বিভাগের স্বাধীনা চায়। সরকার বিচার বিভাগকে কুক্ষিগত করার চেষ্টা করছে। সম্প্রতি সরকার বিচার বিভাগকে যেভাবে দলীয়করণ করছে, এ বিজয় তার প্রতিবাদ।

অন্যদিকে জাতীয়তাবাদী প্যানেলের বিপুল বিজয় সম্পার্কে এই প্যানেলের নমিনেশন বোর্ডের সদস্য সচিব ও সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সম্পাদক ব্যারিস্টার বদরুদ্দোজা বাদল বলেন, দেশের মানুষ স্বাধীনভাবে ভোট দেয়ার সুযোগ পেলে বিএনপি বিপুলভাবে জয়ী হবে। বর্তমান পরিস্থিতিতে সুপ্রিম কোর্ট বারের সদস্যরা সিদ্ধান্ত গ্রহণে ভুল করেনি।

জাতীয়তাবাদী প্যানেলের বিপুল বিজয় সম্পর্কে নবনির্বাচিত সম্পাদক ব্যারিস্টার এএম মাহমুব উদ্দিন খোকন বলেন, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় আন্তরিকভাবে কাজ করছি। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় আইনজীবীরা কাজ করতে চায়। কিন্তু সরকার সেটি করতে দিচ্ছে না। বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে গ্রেফতার করে সরকার ভুল করেছে, অন্যায় করেছে। আইনজীবীরা সে অন্যায়ের জবাব দিয়েছে বারের নির্বাচনের মাধ্যমে।

ব্যারিস্টার খোকন বলেন, আমি অনেক খুশি সম্পাদক নির্বাচিত হয়ে। সাধারণ আইনজীবীরা আমাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করায় তাদের প্রতি আমি অনেক কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। আইনজীবীদের স্বার্থ রক্ষায় সবসময় কাজ করেছি, করছি। সমিতিতে আইনজীবীদের জমানো টাকা আমানত হিসেবে রেখে দিয়েছি, খেয়ানত করিনি।
ব্যারিস্টার খোকন আরো বলেন, আমি সকল দলের, মতের আইনজীবীদের সাড়া পাচ্ছি। দল-মত নির্বিশেষে সকল আইনজীবী আমাকে ভোট দিয়েছেন। সমর্থন দিয়েছেন। তিনি বলেন, সুপ্রিম কোর্ট বার একটি পেশাজীবীদের সংগঠন। এখানে পেশাদারিত্ব রক্ষা, আইনজীবীদের স্বার্থ রক্ষা হলো বড় বিষয়। আমি নির্বাচিত হয়ে আইনজীবীদের প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকা কয়েক গুণ বৃদ্ধি করেছি। কেউ আমার দ্বারা বঞ্চিত হয়নি। আমি অনিয়মকে প্রশ্রয় দিইনি। যতটুকু পেরেছি, আইনজীবীদের সাথে সমন্বয় করেই কাজ করার চেষ্টা করেছি। এখানে উচ্চ শিক্ষিত লোকেরা উকালতি করতে আসেন। তারা সবকিছু সম্পর্কে ভালো ধারণা রাখেন। তাদের মনোভাব বুঝে রাজনীতি করতে হবে। তাদেরকে ঠকিয়ে এখানে কেউ পার পাবে না।

২০১৮-২০১৯ সেশনের নির্বাচনে ১৪টি পদের মধ্যে ১০টি পদে জয় পেয়েছে বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য ‘নীল’ প্যানেল। অপর দিকে সরকার সমর্থক সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদের ‘সাদা’ প্যানেল একটি সহ-সম্পাদক ও তিনটি সদস্যসহ চারটি পদে জয়ী হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *