ঢাকা থেকে মরদেহবাহী গাড়িতে রাত সাড়ে ১২টার দিকে পিয়াসের মরদেহ তাঁর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গোপালগঞ্জের সাহেরা খাতুন মেডিকেল কলেজে নেওয়া হয়। সেখানে শ্রদ্ধাঞ্জলি শেষে বরিশালের উদ্দেশে রওনা হয়ে রাত সোয়া তিনটায় এসে পৌঁছায়।
আজ সকাল ৯টায় পিয়াসের মরদেহ বরিশাল জিলা স্কুল মাঠে নেওয়া হয়। সেখানে শিক্ষার্থী-শিক্ষকেরা শেষ শ্রদ্ধা জানান। এরপর বরিশাল কেন্দ্রীয় মহাশশ্মানে তাঁর অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন হবে।
পারিবারিক সূত্র জানায়, পিয়াস রায়ের বাড়ি বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার দাড়িয়াল ইউনিয়নের মধুকাঠি গ্রামে। পিয়াসের বাবা সুখেন্দু বিকাশ রায় নলছিটি উপজেলার চন্দ্রকান্ত মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। মা পূর্ণিমা রায় বরিশাল নগরীর একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক। পিয়াস গোপালগঞ্জের সাহেরা খাতুন মেডিকেল কলেজ থেকে এবার চূড়ান্ত পরীক্ষায় অংশ নেন। এ বছরের ৫ মার্চ তাঁর পরীক্ষা শেষ হয়।
পিয়াস ১২ মার্চ বেড়ানোর জন্য ইউএস-বাংলার ওই উড়োজাহাজে নেপালের উদ্দেশে যাত্রা করেন। এই দুর্ঘটনায় পিয়াস নিহত হন।
দুই ভাইবোনের মধ্যে পিয়াস রায় ছিলেন বড়। তাঁর বোন শুভ্রা রায় রাজধানীর একটি মেডিকেল কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী।