পাইলট আবিদের ভাই অধ্যাপক খুরশিদ মাহমুদ জানান, শুক্রবার বাদ আসর উত্তরা ১৩ নম্বর সেক্টর জামে মসিজদে আফসানা খানমের জানাজা হবে। এরপর তাঁকে বনানী সামরিক কবরস্থানে আবিদের কবরের পাশে দাফন করা হবে।
রাজধানীর ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্স ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন আফসানা। ওই হাসপাতালের আইসিইউর চিকিৎসা কর্মকর্তা কাজী একরাম হোসেন সাংবাদিকদের জানান, আবিদের স্ত্রীর অবস্থা অবনতির দিকে যাচ্ছিল। আজ সকাল সাড়ে নয়টার দিকে তিনি মারা যান।
সম্প্রতি নেপালে বিধ্বস্ত ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনসের উড়োজাহাজটির পাইলট ছিলেন আবিদ। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন তাঁর স্ত্রী আফসানা। প্রথমে তাঁকে বলা হয় আবিদ আহত হয়ে চিকিৎসাধীন। পরে স্বামীর মৃত্যুর খবর শুনে আফসানা ভেঙে পড়েন। মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে তাঁর মাথায় অস্ত্রোপচার হয়েছিল।
গত রোববার সকালে আফসানা মাথায় প্রচণ্ড যন্ত্রণা বোধ করছিলেন। প্রথমে তাঁকে উত্তরার একটি বেসরকারি ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। পরে শেরেবাংলা নগরের নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে নেওয়া হয়। এই হাসপাতালের আইসিইউতে তিনি চিকিৎসাধীন ছিলেন।
আফসানার মস্তিষ্কে দুবার রক্তক্ষরণ (স্ট্রোক) হয়ে ছিল। প্রথমবার ছিল মৃদু, পরেরটি গুরুতর। তাঁর মাথার খুলির একটি অংশ খুলে রাখা হয়েছিল। এভাবেই তাঁর চিকিৎসা চলছিল।
আবিদ-আফসানার একমাত্র ছেলে তানজিদ সুলতান (১৪)। সে উত্তরায় তার নানার বাসায় আছে।