ঢাকা: ‘স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে বাংলাদেশের উত্তরণ সাধারণ মানুষের অর্জন। দেশকে তারাই এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। সরকার শুধু পথপ্রদর্শকের ভূমিকা পালন করছে।’ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে আজ স্বাস্থ্যসেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেয়া সম্ভব হয়েছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ করার অঙ্গীকার প্রতিষ্ঠা করতে পেরেছি। বিদ্যুতের উন্নতির জন্য সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছিলাম বেসরকারি খাতকে।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এই উৎসব ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। শুরুতেই উন্নয়নশীল দেশের স্বীকৃতিপত্র প্রধানমন্ত্রীর কাছে হস্তান্তর করেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। এর পর উন্নয়নশীল দেশের স্বীকৃতি প্রাপ্তিতে ডাকটিকিট, ৭০ টাকার স্মারক মুদ্রা এবং উন্নয়ন আলোকচিত্র অ্যালবামের মোড়ক উন্মোচন করেন প্রধানমন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীকে প্রেসিডেন্ট আব্দুল হামিদের পক্ষ থেকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান প্রেসিডেন্ট কার্যালয়ের সামরিক সচিব। এরপর স্পিকারের পক্ষে আবদুর রাজ্জাক, মাহবুব আরা গিনি ও রফিকুল ইসলাম; প্রধান বিচারপতির পক্ষে রেজিস্ট্রার জেনারেল গোলাম রব্বানী এবং মন্ত্রিসভার পক্ষে অর্থ, পররাষ্ট্র ও পরিকল্পনামন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানান। আরো শুভেচ্ছা জানান বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ। শুভেচ্ছা জানানো হয় ১৪ দল, মন্ত্রিপরিষদের পক্ষে। এছাড়া, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব, সেনাবাহিনী, বিমানবাহিনী ও নৌবাহিনীর প্রধানগণ শ্রদ্ধা জানান। শ্রদ্ধা জানানো হয় পুলিশের পক্ষ থেকে।
সংবর্ধনায় ভিডিওবার্তায় শুভেচ্ছা জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্টোনিও গুতেরেস, বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ও এডিবির প্রধান।
এরপর বিভিন্ন ব্যক্তি, ব্যবসায়ী, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন ও মুক্তিযোদ্ধা, শিক্ষাবিদ, সাংবাদিক, আইনজীবী, কবি-সাহিত্যিক, খেলোয়াড় এবং শিল্পী সমাজের পক্ষ হতে শুভেচ্ছা জানানো হয় প্রধানমন্ত্রীকে।
উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ উদযাপনে বিকাল ৩টায় রাজধানীজুড়ে বের হবে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা।