শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ব্যাটসম্যানদের ডেকে পাঠিয়েছিলেন সাকিব আল হাসান। এ নিয়ে সমালোচনা শুনতে হয়েছে তাঁকে। তিন যুগ আগে নিজেই অমন কীর্তি করা সুনীল গাভাস্কারও সাকিবের সমালোচনা করার আগে দুবার ভাবেননি। তবে সমালোচনায় সবাইকে ছাড়িয়ে গেছেন হরভজন সিং। নিদাহাস ট্রফির ওই ঘটনায় পুরো বাংলাদেশ দলকেই নাকি কয়েক ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ করা উচিত ছিল।
শৃঙ্খলা-সংশ্লিষ্ট ব্যাপারে হরভজনের মুখ খোলাটা একটু কঠিন। আইপিএলে জাতীয় দলের সতীর্থ শ্রীশান্তকে চড় মেরেছিলেন এই অফ স্পিনার। মুম্বাই ইন্ডিয়ানসের হয়ে খেলার সময় তো একই দলের আম্বাতি রাইডুর সঙ্গেও বেধে গিয়েছিল তাঁর। অ্যান্ড্রু সাইমন্ডসের সঙ্গে তাঁর বর্ণবাদী বিতর্ক এখনো আলোচনার জন্ম দেয়। সেই হরভজন বাংলাদেশ দলকে সংযত হওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন, ‘আমি নিজেই এ রকম অনেক ঘটনায় জড়িত ছিলাম, তবু এ নিয়ে কথা বলছি। এসব এমন ঘটনা, ভবিষ্যতে যখন এ ঘটনা মনে পড়বে, তখন লজ্জা পাবেন। যা ঘটেছে তা ক্রিকেটের জন্য দুঃখজনক এবং বাংলাদেশ হয়তো অনেক সমর্থক হারিয়েছে।’
মাঠে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়ায় নুরুল হাসান ও সাকিবকে ম্যাচ ফির ২৫ শতাংশ জরিমানা করেছেন ম্যাচ রেফারি ক্রিস ব্রড। সঙ্গে এক ডিমেরিট পয়েন্ট দেওয়া হয়েছে এ দুজনকে। মাঠের ওই ঘটনার পর বাংলাদেশের ড্রেসিংরুমের দরজা ভাঙা পাওয়া গিয়েছিল। হরভজনের ধারণা, বাংলাদেশ লঘু শাস্তি পেয়েছে। গতকাল ইন্ডিয়া টুডের সঙ্গে আলোচনায় ফাইনালের আগে পুরো বাংলাদেশ দলকেই নিষিদ্ধ করার দাবি তুলেছিলেন হরভজন, ‘ওরা যা করেছে, সেটা অবশ্যই উচিত হয়নি। ওরা কিছু ভাঙতে পারে না। আম্পায়ারিংয়ে ভুল ছিল কিন্তু ম্যাচে হতেই পারে। আপনি দলের খেলোয়াড়দের ডেকে আনতে পারেন না এবং উদ্যাপনের জন্য জানালা ভাঙতে পারেন না। ক্রিস ব্রডের উচিত ছিল আরও কঠোর হওয়া। আমি খুব অবাক হয়েছি যে মাত্র ২৫ শতাংশ ম্যাচ ফি জরিমানা করা হয়েছে। ওদের অন্তত কয়েক ম্যাচ নিষিদ্ধ করা উচিত ছিল। পুরো দলকেই নিষিদ্ধ করা উচিত ছিল।’