খালেদা জিয়াকে জামিন না দিয়ে কফিনের শেষ পেরেক মেরে দেওয়া হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, দুর্ভাগ্যজনকভাবে আওয়ামী লীগের সরকার বিচার বিভাগের ওপর ভর করে, তাদের ব্যবহার করে মানুষের অধিকারগুলো হরণ করে নিচ্ছে।
আজ সোমবার দুপুরে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় নিম্ন আদালতে দণ্ডপ্রাপ্ত বিএনপি চেয়ারপারসনকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন আদেশ আগামী ৮ মে পর্যন্ত স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগ। আজ সকালে এই আদেশ ঘোষণার পর দলের পক্ষ থেকে প্রতিক্রিয়া জানাতে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
এ সময় খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে আগামীকাল মঙ্গলবার সারা দেশের জেলা মহানগর ও রাজধানীর থানায় থানায় বিক্ষোভ কর্মসূচির ঘোষণা করেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এ ছাড়া আগামী ২৯ মার্চ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ফের জনসভা করার ঘোষণাও দেন তিনি।
খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে তৃতীয় দফায় আজ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জনসভার ঘোষণা দিয়েছিল বিএনপি। অনুমতি না পেয়ে তা করতে পারেনি। এর আগে গত ২২ ফেব্রুয়ারি ও গত ১২ মার্চ জনসভা করতে চেয়েও অনুমতি পায়নি দলটি। ফের চতুর্থ দফায় আবারও জনসভার ঘোষণা দিলেন বিএনপি মহাসচিব।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘ক্ষোভের সঙ্গে বলছি এই আদেশে সরকারের যে ইচ্ছা সে ইচ্ছাই প্রতিফলিত হয়েছে। গণতন্ত্র এবং রাষ্ট্র ব্যবস্থা সবকিছু শেষ দিকে চলে গেছে, নেই বললেই চলে। মানুষের যে আশা ভরসার স্থল সেই সর্বোচ্চ আদালত থেকেও ন্যায়বিচার বঞ্চিত হয়েছি। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া বঞ্চিত হয়েছেন।’
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু, এ জেড এম জাহিদ হোসেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আবদুস সালাম, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী অ্যানি, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ প্রমুখ।