জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে হাইকোর্টের দেয়া জামিন আদেশ ৮ মে পর্যন্ত স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগ। এ ছাড়া রাষ্ট্রপক্ষ ও দুদককে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার অনুমতি দেয়া হয়েছে।
সোমবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে চার সদস্যের আপিল বিভাগ রাষ্ট্রপক্ষ ও দুদকের লিভ টু আপিল আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন।
এদিকে আদেশের পর এক প্রতিক্রিয়ায় বিএনপি চেয়ারপারসনের আইনজীবী এবং দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেছেন, ‘আপিল বিভাগের আদেশ কিছুটা নজিরবিহীন। এ ধরনের আদেশ কখনো শুনিনি, প্রত্যাশাও করিনি।’
তিনি বলেন, সর্বোচ্চ আদালত আদেশ দিয়েছে। এখন আর আইনি লড়াই ছাড়া বিকল্প নেই। আরেকটি হচ্ছে রাজপথের আন্দোলন। সেটি তো সুপ্রিম কোর্টে করতে পারব না। তবে আমরা যারা আইনজীবী আছি তারা সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো তার কারামুক্তি করাতে।
এর আগে সকালে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিন ৮মে পর্যন্ত স্থগিত করেছেন আদালত।
হাইকোর্টের দেয়া জামিন আদেশের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ও রাষ্ট্রপক্ষের দায়ের করা লিভ টু আপিলের শুনানি শেষে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন।
আদালতে আজ খালেদা জিয়ার পক্ষে উপস্থিত ছিলেন ব্যারিস্টার রফিকুল হক, দুর্নীতি দমন কমিশনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশিদ আলম।
জামিন আদেশ স্থগিতের পাশাপাশি দুই সপ্তাহ’র মধ্যে উভয়পক্ষকে আপিলের সারসংক্ষেপ জমা দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় গত ৮ ফেব্রুয়ারি ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন। এরপর থেকেই খালেদা জিয়া পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডের পুরনো কারাগারে আছেন। তরপর খালেদা জিয়ার পক্ষে জামিন আবেদন করা হলে হাইকোর্ট গত ১২ মার্চ তাকে চার মাসের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দেন।
গত ৮ ফেব্রুয়ারি সরকারি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে করা জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন বিচারিক আদালত। একই সঙ্গে খালেদা জিয়ার ছেলে তারেক রহমানসহ মামলার অপর পাঁচ আসামির প্রত্যেককে ১০ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়।