উল্লেখ্য, সিডনিতে তিন দিনের জন্য বিশেষ এই সম্মেলনে বসেন অস্ট্রেলিয়া-আসিয়ান নেতারা। এতে যোগদানকারী নেতারা ক্রমবর্ধমান সহিংস জঙ্গিবাদ ও উগ্রবাদ মোকাবিলায় আরো ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে একমত হয়েছেন। এরপরই যার যার দেশের মানবাধিকার রক্ষায় সঙ্কট সমাধানের বিষয়ে গুরুত্ব দেয়া হয়। কিন্তু মিয়ানমারে ঘটে যাওয়া রোহিঙ্গা নির্যাতনের জন্য তাদের নিন্দা জানানো হয় নি। সিডনির ওই বৈঠকে উপস্থিত মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সুচি। তিনি জোর দিয়ে তার দেশের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন। এ বিষয়ে বৈঠক শেষে রোববার সংবাদ সম্মেলন করেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী ম্যালকম টার্নবুল। তিনি এতে বলেছেন, রাখাইন রাজ্যের পরিস্থিতি নিয়ে আমরা উল্লেখযোগ্য আলোচনা করেছি। অং সান সুচি নিজে এ নিয়ে বিস্তারিত বক্তব্য রেখেছেন। আসলে এটা একটি অত্যন্ত জটিল সমস্যা। সবাই চাইছেন দুর্ভোগের সমাপ্তি। তবে সিঙ্গাপুরের প্রধানমন্ত্রী লি হসেইন লুং রোহিঙ্গা সঙ্কটকে আসিয়ান দেশগুলোর সবার জন্য উদ্বেগের বলে আখ্যায়িত করেছেন। তবে এক্ষেত্রে ফল বের করে আনতে হস্তক্ষেপ করার সামর্থ নেই আসিয়ানের।
উল্লেখ্য, দক্ষিণ চীন সাগর আঞ্চলিক নিরাপত্তার ক্ষেত্রে একটি বড় উত্তেজনার সৃষ্টি করেছে। ওই এলাকায় সামরিক স্থাপনা নির্মাণের জন্য বেইজিং কৃত্রিম দ্বীপ সৃষ্টি অব্যাহত রেখেছে। তবে এই সাগরের বৃহৎ অংশ অন্যরাও দাবি করে। এক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি আপত্তি ভিয়েতনামের। চীনের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আছে ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট রড্রিগো দুতের্তের। সেই ফিলিপাইন কিন্তু সমর্থন করছে ভিয়েতনামকে। এ ছাড়া দক্ষিণ চীন সাগরে নিজেদের অংশীদার দাবি করে তাইওয়ান, মালয়েশিয়া ও ব্রুনেই। তবে বেইজিংয়ের নাম উল্লেখ না করে আঞ্চলিক শান্তি, স্থিতিশীলতা, সমুদ্রপথের নিরাপত্তা, নৌচলাচলের স্বাধীনতা ও বিমান চলাচলের ওপর গুরুত্ব দিয়েছে ক্যানবেরা ও আসিয়ান। তবে সম্মেলনে যোগদানকারী নেতারা দক্ষিণ চীন সাগরে মেনে চলার জন্য একটি কার্যকর আচরণবিধি দাবি করেছেন। ম্যালকম টার্নবুল বলেছেন, দক্ষিণ চীন সাগর সহ এই অঞ্চলে আইন ভিত্তিক শৃংখলা ও আন্তর্জাতিক আইন মেনে চলতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।