কাঠমান্ডুতে ইউএস বাংলা ফ্লাইট বিধ্বস্ত হয়ে নিহত ২৬ জন বাংলাদেশির মধ্যে ১৭ জনের পরিচয় সনাক্ত করা হয়েছে দুর্ঘটনার পাঁচদিন পর ফরেনসিক পরীক্ষা এবং ময়না তদন্ত শেষ করে নেপাল ও বাংলাদেশের চিকিৎসকদের যৌথ দলের পক্ষ থেকে নিহত ১৭ জন বাংলাদেশি, ৯ জন নেপালি এবং একজন চীনা নাগরিকের নাম ঘোষণা করা হয়। অন্য ৯ জন বাংলাদেশীর লাশ এখনো শনাক্ত করা যায়নি।
শনিবার রাতে নেপালে বাংলাদেশ দূতাবাসের দেওয়া তালিকায় ১৭ বাংলাদেশির লাশ শনাক্তের কথা জানানো হয়েছে। এখন পর্যন্ত দুর্ঘটনায় নিহত ৪৯ জনের মধ্যে ২৮ লাশ শনাক্ত হয়েছেন। অন্যদের মধ্যে ১০ জন নেপালি ও একজন চীনের নাগরিক।
বাংলাদেশিদের লাশ আগামী মঙ্গলবার দেশে আসবে বলে আগেই জানানো হয়েছে।লাশ শনাক্ত হওয়া ১৭ বাংলাদেশির তালিকা দিয়েছে নেপালে বাংলাদেশ দূতাবাস। লাশ শনাক্ত হওয়া ১৭ বাংলাদেশির তালিকা দিয়েছে নেপালে বাংলাদেশ দূতাবাস।
লাশ শনাক্ত হওয়া ১৭ বাংলাদেশি হলেন তানভিন তাহিরা শশী, মো. রাকিবুল হাসান, মো. রফিকুজ্জামান, আকতারা বেগম, মো. হাসান ইমাম, তামারা প্রিয়ন্ময়ী, বিলকিস আরা, এস এম মাহমুদুর রহমান, পাইলট আবিদ সুলতান, কো পাইলট পৃথুলা রশিদ, খাজা সাইফুল্লাহ, ফয়সাল আহমেদ, সানজিদা হক বিপাশা, নুরুজ্জামান এবং শিশু অনিরুদ্ধ জামান ও তামারা প্রিয়ন্ময়ী।
গত সোমবার কাঠমান্ডুতে উড়োজাহাজ বিধ্বস্তের ঘটনা ঘটে। এতে ৭১ যাত্রীর মধ্যে ৪৯ জন নিহত হন। তাঁদের মধ্যে ২৬ জন বাংলাদেশি। আরোহী অন্য ১০ জন বাংলাদেশি আহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে এখন পাঁচজন বাংলাদেশে ফিরে এসেছেন। তাঁরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি আছেন। অন্যদের মধ্যে একজন সিঙ্গাপুরে ও চারজন নেপালের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
এর আগে শনিবার বিকেলে কাঠমান্ডু মেডিকেল কলেজের সামনে ঢাকা মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান সোহেল মাহমুদ সেখানে উপস্থিত মৃতদের স্বজনদের বলেন, উড়োজাহাজ বিধ্বস্তের ঘটনায় নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে এখন পর্যন্ত ২৫ জনের লাশ শনাক্ত করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে ১৫ জন বাংলাদেশি, ৯ জন নেপালি ও একজন চীনের নাগরিক। তিনি স্বজনদের বলেন, নিহত ব্যক্তিদের বাংলাদেশি স্বজন যাঁরা এসেছেন, তাঁদের আজই লাশ দেখানোর ব্যবস্থা করা হবে। আগে নেপালিদের লাশ দেখানোর পর যে ১৫ বাংলাদেশির লাশ শনাক্ত করা হয়েছে, তাঁদের স্বজনদের লাশ দেখানো হবে।